ছাইদুর রহমান নাঈম, কিশোরগঞ্জ থেকে
হাওরে ধানের দাম নিয়ে কৃষকের দুশ্চিন্তার মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের হাওরে সফরে এসেছেন খাদ্য সচিব মো: মাসুদুল হাসান৷
এ সময় তিনি ইটনা, অষ্টগ্রাম, নিকলী ও বাজিতপুর উপজেলার সাথে ধান সংগ্রহ কার্যক্রমে অনলাইনে যুক্ত হন। পরে তিনি নমুনা শস্য কর্তনের অংশ হিসেবে মহিষারকান্দি হাওরে গিয়ে নিজে হারভেস্টার মেশিন দিয়ে কিছুক্ষণ ধান কাটেন। পরে কৃষকদের সাথেও কাস্তে নিয়ে তিনি ধানকাটায় যোগ দেন। ধানকাটায় তার সাথে কৃষি বিভাগের লোকজনও ছিল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় খাদ্য সচিব বলেন, ‘কৃষক যাতে ন্যায্য মূল্য পায় সেদিক বিবেচনা করে সরকার ধান, চালের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। কৃষকের নিরলস শ্রমে এবার হাওরসহ সারাদেশে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা বাংলাদেশের প্রাণ। সরকারও কৃষক ভাইদের নানাভাবে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। এই সৌহার্দ্য অব্যাহত থাকলে অচিরেই খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে দেশ। অতীতে নানা কারণে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হতো না। এবার যেকোনো মূল্যে ধান চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবে সরকার।’
মিঠামইন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আব্দুল্লা আল মামুনের সভাপতিত্বে দুপুর সাড়ে ১২টায় বোরো ধান সংগ্রহ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুরাইয়া খাতুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বাজিতপুর সার্কেল) সত্যজিৎ ঘোষ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কিশোরগঞ্জের উপ-পরিচালক ডক্টর সাদিকুর রহমান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান মোল্লা, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আইরিন আক্তার প্রমুখ।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস জানিয়েছে, এবার অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ ২০২৫ মৌসুমের আওতায় প্রতি কেজি ধানের সংগ্রহ মূল ৩৬ টাকা, প্রতি কেজি সিদ্ধ চালের সংগ্রহ ৪৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ধানের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৪ শতাংশ আদ্রতা গ্রহণযোগ্য।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস আরো জানিয়েছে, আজ থেকে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ধান ও চাল সংগ্রহের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলায় ধান ক্রয়ে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৪৮৯ টন। এছাড়া ২৭ হাজার ১৩৮ টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহ করা হবে।