মতায় গেলে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল করবে বিএনপি : ড. মঈন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি মতায় আসলে রামপালের তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র চুক্তি বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান।
শনিবার জাতীয় প্রেস কাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সেভ দ্যা সুন্দরবন আয়োজিত ‘সুন্দরবনকে বাঁচাতে হলে রামপালের তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের বিকল্প নেই শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
ড. মঈন খান বলেন, তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র শুধু সুন্দরবনের জন্যই তিকর নয়; এটা সারা দেশের মানুষের জন্য তিকর। সুন্দরবন ধ্বংস হলে আমরা হয়ত তাৎণিক মরব না, কিন্তু ধুকে ধুকে মরব।
তিনি বলেন, রামপালের চুক্তি জনগণের জন্য প্রকাশ করা হয়নি। ভারতে বিষাক্ত কয়লা ভূয়া সার্টিফিকেট দেখিয়ে বাংলাদেশে আমদানি করা হবে। বাংলাদেশের পরিবেশ ধ্বংস করে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে আবার ওই বিদ্যুৎ দ্বিগুণ দামে কিনতে হবে।
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মাদ বলেন, ২৪ শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে রামপালের তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন বন্ধ করা না হলে ঢাকা থেকে রামপাল পর্যন্ত লংমার্চ করবে তেল-গ্যাস- খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রা কমিটি।
তিনি বলেন, তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি করে বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে সুন্দরবন ধ্বংস করার পরিকল্পনা নিয়েছে। ভারতের ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার কোম্পানি (এনটিপিসি) ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সুন্দরবন রার কথা না চিন্তা করে তড়িঘড়ি করে চুক্তি স্বার করে।
আনু মুহাম্মাদ বলেন, এই বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সরকার জলাশয় ভরাট, কার্বন নির্গমন, বন তিগ্রস্তকরণ, বিশ্ব ঐতিহ্যের ধারক বনাঞ্চল তিগ্রস্তকরণসহ দেশি-বিদেশি মোট পাঁচটি আইন বা কনভেনশন লঙ্ঘন করতে হচ্ছে।’ তাই অবিলম্বে এই স্থাপণা বাতিল করার জোর দাবি জানান তিনি।

শেয়ার করুন

Related News

সাম্প্রতিক সংবাদ

আর্কাইব

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
2627282930  

প্রধান সম্পাদক : সাঈদুর রহমান রিমন
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ নজরুল ইসলাম আজহার

সার্বিক যোগাযোগ : চৌধুরী মল (৫ম তলা), ৪৩ হাটখোলা রোড, ঢাকা-১২০৩॥

গাজীপুর অফিস : এ/১৩১ (ইকবাল কুটির) হাবিব উল্লাহ স্মরণী, জয়দেবপুর, গাজীপুর-১৭০০॥

হটলাইন: ০১৭৫৭৫৫১১৪৪ ॥ সেলফোন : ০১৭১৬-৩৩৩০৯৬ ॥ E-mail: banglabhumibd@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত বাংলাভূমি ২০০৯-২০২৫