স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এফবিসিসিআইসহ অন্য ব্যবসায়ী নেতাদের বৈঠকে গত ৩০ জুন চিনি ও ভোজ্যতেলের বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয়।
এ ছাড়া গত সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আরও এক দফা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে খেজুর, ছোলা ও মসুর ডালের দাম নির্ধারণ করে দেয়। ত্রিপীয় এ বৈঠকের নির্ধারিত মূল্য মানছেন না ব্যবসায়ীরা।
এ নিয়মকে তোয়াক্কা না করেই বাড়তি দামে এসব পণ্য বিক্রি করছেন খুচরা বিক্রেতারা। এতে ভোক্তারা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। প্রশাসনের তদারকির অভাবেই পণ্যের দাম বাড়ছে বলে অভিযোগ করেন ভোক্তারা।
রমজানের শুরুর দিনে সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত দামের তেমন কোনো কার্যকারিতা নেই। বেশিরভাগ পণ্য নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারিত পণ্য মসুর ডাল ছাড়া অন্যান্য পণ্যের চড়া দাম। তবে রাজধানীর কিছু দোকানে নির্ধারিত দামে কয়েকটি পণ্য বিক্রি হতে দেখা গেছে।
খেজুর: প্রতি কেজি ইরাকি জাহেদি খেজুরের খুচরা দাম ৭৫-৮৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। রমজানের শুরুর দিনে গতকাল প্রতি কেজি সাধারণ মানের খেজুর ১৩০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হয়। তুলনামূলক ভালো খেজুর ২০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়। গত বছরের আমদানি করা এ খেজুর গত রমজানের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। সাধারণ মানুষের চাহিদা মেটানো এ খেজুর নির্ধারিত দামের চেয়ে ৭৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
ছোলা ও মসুর ডাল: রমজানের আগে থেকেই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মসুর ডালের দাম। আন্তর্জাতিক বাজারে এ পণ্যটির দাম কম থাকায় দেশের বাজারেও কম দামে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া মন্ত্রণালয় নির্ধারিত প্রতি কেজি কানাডার মসুর ডালের দাম ৭৫-৮৫ টাকা। বর্তমানে বাজারে তা ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে অস্ট্রেলিয়ার ছোলার দাম ৬২ টাকা নির্ধারিত হলেও বাজারে ৬২ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে দোকানিরা ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি করছে।