কালিয়াকৈর প্রতিনিধি
গাজীপুর: উপজেলার কালামপুর এলাকায় ভূমিহীন এবং বন বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ভূমিহীন ৫ ও বনবিভাগের ৭ জন আহতের খবর জানা গেছে। এরপর বিক্ষুব্ধ ভূমিহীনরা দলবেঁধে কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাওছার আহমেদের নিকট তাদের অভিযোগ তুলে ধরেন। অভিযোগে ভূমিহীনরা বলেন, বন বিভাগের লোকজন দের বিভিন্ন সময় মোটা অংকের টাকা দিয়ে তারপরে বনের জমিতে অস্থায়ী ঘর নির্মাণ করতে হয় সেই ঘর ভেঙে পড়লে বা নষ্ট হয়ে গেলে সংস্কার করার সময়ও তাদের আবার টাকা দিতে হয়। এ ছাড়া কিছু ব্যক্তি তারা নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে অসহায় ভূমিহীন দের কাছ থেকে দশ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করছেন। গত কয়েকদিন আগেও আমরা ভূমিহীনরা সম্মিলিতভাবে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের তিন লাখ টাকা দিয়েছি তার পরেও ২৯ মে বন বিভাগের লোকজন টাকার জন্য আসলে তাদেরকে আরো ১০ হাজার টাকা দেয়া হয় এবং ৩০ মে সকালে বন বিভাগের কর্মকর্তারা বন রক্ষী ও বন প্রহরীদের নিয়ে আমাদের দোকানপাট এবং বাড়িঘর ভাঙচুর করলে তাদের বাধা দেই। তারা বাধা না শুনে আমাদের ফার্মেসী, সেলুন মুদি, দোকান ভাঙচুর করে ৩০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। নারীদেরকেও তারা লাঞ্ছিত করেছে।
ভূমিহীনদের মুখে ঘটনার বিবরণ শুনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ বলেন, বিষয়টি শুনলাম পরবর্তীতে তদন্ত করে এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করা হবে। এদের মধ্যে বনপ্রহরী আলাউদ্দিনের মাথা ফেটে গেছে এবং জামাল হোসেনের হাত ভেঙ্গে গেছে বলে জানিয়েছেন চন্দ্রা বিট অফিসার আব্দুল মান্নান। আব্দুল্লাহ মান্নান আরো বলেন, উপজেলার কালামপুর এলাকায় ভূমিহীনরা বন বিভাগের জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করছে বিষয়টি জেনে সেখানে গিয়ে তাদের অবৈধ বসতি নির্মাণে বাধা দিলে ভূমিহীনরা সংঘবদ্ধ হয়ে লাঠিসুটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে আমাদের সাতজন কে মারাত্মক আহত করেছেন।
কালিয়াকৈর থানার ডিউটি অফিসার সামিয়া রহমান যুথী জানান, ভূমিহীনদের পক্ষে দীপ্তি রানী বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।এ বিষয়ে তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।