রবিবার , ১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩১ , ১১ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > শীর্ষ খবর > কমিউনিটি পুলিশের কাজ জনগণের অংশগ্রহণে সমাধান দেয়া: জিএমপি কমিশনার

কমিউনিটি পুলিশের কাজ জনগণের অংশগ্রহণে সমাধান দেয়া: জিএমপি কমিশনার

শেয়ার করুন

জাহিদ হাসান ভূঁইয়া
শিক্ষানবিস রিপোর্টার ॥
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির বলেন, কমিউনিটি পুলিশ হলো একটি সাংগঠনিক কাঠামো বা দর্শন। যেখানে অপরাধ দমন ও সমাজের অন্যান্য সামাজিক সমস্যা সমূহ জনগণের সম্পৃক্ততায় তাদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সমাধান দেয়া হয়।

আজ শনিবার দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানা প্রাঙ্গণে ‘মুজিববর্ষের মূলমন্ত্র-কমিউনিটি পুলিশিং সর্বত্র’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কমিউনিটি পুলিশিং ডে- ২০২০ উপলক্ষে কমিউনিটি পুলিশিং সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ আজাদ মিয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর জেলা প্রশাসক এস. এম. তরিকুল ইসলাম।

সহকারী পুলিশ কমিশনার আশরাফ উল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এ্যাড. মোঃ ওয়াজ উদ্দিন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মহিউদ্দিন (মহি), ২৮নং ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশ ইউনিটে’র সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবু হানিফ, টঙ্গী পূর্ব থানা কমিউনিটি পুলিশ ইউনিটের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, গাজীপুর জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো: সুলতান উদ্দিন সরকার, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মোছা. আয়েশা আক্তার প্রমুখ।

সূরা আলে ইমরানের ১০৪ নং আয়াতের উদ্বৃতি দিয়ে জিএমপি কমিশনার বলেন, তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল থাকা উচিত, যারা আহ্বান জানাবে সৎকর্মের, নির্দেশনা দেবে ভালো কাজের এবং বাধা প্রদান করবে অন্যায়ের কাজের। তাহলে আমরা যারা কমিউনিটি পুলিশিং এর সাথে জড়িত আছি, তারা সূরা আলে ইমরানের সেই বিশেষ দল।

সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি বলেন, জনসাধারণ, সরকার এবং পুলিশের সুষম অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সমাজ থেকে অপরাধ দূরীকরণ, অপরাধের কারণ দূরীকরণ, অপরাধ বৃদ্ধি হ্রাস এবং সমাজের অন্যান্য যে সব সমস্যা আছে সেগুলোর সমাধান দেয়াই হলো কমিউনিটি পুলিশের অন্যতম কাজ। অপরাধের ক্ষেত্রে যে সব অধর্তব্য অপরাধ সেগুলো কমিউনিটি পুলিশিং বিরোধ নিষ্পতির কাজ করে। ক্রিমিনাল অফেন্সের ক্ষেত্রে তদন্ত কার্যক্রম সুচারুভাবে হয়, সৎ পথে হয় সেই বিষয়টাও নিশ্চিত করে কমিউনিটি পুলিশ। অর্থ্যাৎ অধর্তব্য কর্মকান্ডের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত এবং ধর্তব্য অপরাধের ক্ষেত্রে নিরীহ লোক যেনো না ফেসে যায়, অপরাধী সমাজে অবাধে চলাফেরা করতে না পারে। সাধারণ জনগণ যেন সার্বিক নিরাপত্তায় সেটা নিশ্চিত করে।