শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > রুয়েট রেজিস্ট্রার আবুল বাশার চাকরিচ্যুত

রুয়েট রেজিস্ট্রার আবুল বাশার চাকরিচ্যুত

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আবুল বাশারকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. প্রফেসর মর্ত্তুজা আলী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাকে চাকরিচ্যূত করা হয়।

একই আদেশে রুয়েটের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আশরাফুল আলমকে অতিরিক্ত হিসেবে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, সোমবার জারি করা রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. প্রফেসর মর্ত্তুজা আলী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়, অন্যত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মারক নং- ২৮৯৬/৪০ তারিখ ১৮এপ্রিল ২০১১ খ্রি. বলে জারিকৃত নিয়োগাদেশ-এর ৫নং শর্তের আলোকে রেজিস্ট্রার পদ হতে জনাব আবুল বাসার, বাবা- মরহুম নঈম উদ্দীনকে অদ্য ২৮ অক্টোবর ২০১৩ খ্রি. অপরাহ্ন থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো।

এদিকে, চাকরিচ্যুত রেজিস্ট্রার আবুল বাশার অভিযোগ করেন, তিনি সোমবার তার দফতরে কাজ করছিলেন। এ সময় ভিসির অনুগত ১৫/২০ জনের শিক্ষক-কর্মচারিদের ক্যাডার গ্রুপ সেখানে গিয়ে একটি চিঠি হাতে ধরিয়ে দেয়। এতে তিনি হতবাক হন। শিক্ষক কর্মচারী চক্র জোর করেই তাকে ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় বলে তিনি জানান ।

প্রকৌশলী আবুল বাশার বলেন, “আগামী বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তার চাকরির মেয়াদ রয়েছে। তার কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট হয়ে বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসি গত মে মাসে আমার চাকরি স্থায়ী করেছেন। কিন্তু সিন্ডিকেটের অনুমোদন ছাড়াই অন্যায় ও অবৈধভাবে আমাকে হঠাৎ করে চাকরিচ্যূত করা হয়েছে। চাকরিচ্যূতির আগে আমার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অভিযোগ উত্থাপন এমনকি কোনো তদন্ত কমিটিও গঠিত হয়নি।

তিনি আরো বলেন, রেজিস্ট্রার হওয়ার পর থেকে বর্তমান ভিসি ও তার অনুগত শিক্ষক কর্মচারীদের নানা অনিয়ম দুর্নীতিতে ঠাঁই দিচ্ছিলেন না তিনি। এ ছাড়া সামনে বড় ধরনের নিয়োগ রয়েছে। ওই নিয়োগ কমিটির সদস্য তিনি। ব্যাপক নিয়োগ বাণিজ্য কোনো বাধা ছাড়া করতেই তাকে সন্ত্রাসী কায়দায় চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।”

চাকরিচ্যুত রেজিস্ট্রার আবুল বাশার অভিযোগ করেন, “ভিসি স্বাক্ষরিত ওই আদেশে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে চাকরিচ্যুতির কথা বলা হলেও আগামী ৯ নভেম্বর রুয়েট সিন্ডিকেটের বৈঠক রয়েছে। তার আগেই কিভাবে সিদ্ধান্ত হলো তা আমার বোধগম্য নয়।”

এ ব্যাপারে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও রুয়েট ভিসি ড. প্রফেসর মর্ত্তুজা আলী মোবাইল রিসিভ করেননি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা বলেন, “আবুল বাশারের চাকরি ছিলো চুক্তিভিত্তিক। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ভিসিকেকে অসহযোগিতা করে আসছিলেন। এ কারণে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।”