শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > রাজনীতি > বিএনপির পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী যোগ দিলেন আ.লীগে

বিএনপির পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী যোগ দিলেন আ.লীগে

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
ফরিদপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী বিএনপির সভাপতি রউফ-উন নবী সহ পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন।

শনিবার রাতে ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের তুলাগ্রাম আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় তারা আওয়ামী লীগে যোগ দেন।

কোতয়ালী বিএনপির সভাপতি রউফ-উন নবী ছাড়াও আওয়ামী লীগে যোগদানকারী বিএনপি নেতাদের মধ্যে রয়েছেন, কোতয়ালী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাহবুব আলী কুটু, কৈজুরী ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি আউয়াল মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ছোরাফ হাওলাদার, কোতয়ালী বিএনপির সদস্য রাজ্জাক মিয়া, ইউনুছ খান, কালাম শেখ, মামুন বাবু, লিয়াকত হোসেন, সিরাজ সিকদার, আক্কাস প্রামানিক প্রমুখ।

জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন যোগদানকারীদের উদ্দেশে বলেন, কোতয়ালী বিএনপির সভাপতি রউফ-উন নবী’র নেতৃত্বে আজ বিএনপির পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দিলেন, তারা আমাদের ভাই। তারা যেন মনে কোনোরকম কষ্ট না পায়, সেটা আমাদের দেখতে হবে।

তিনি বলেন, তাদের সমমর্যাদা দিয়ে রাখতে হবে। কোনোরকম বৈষম্য করা যাবে না। তাদের যোগদানে আমাদের শক্তি অনেক বেড়ে গেল। তারা এতদিন বাইরে ছিল, এখন আমাদের সাথে এক হয়ে গেল।

মন্ত্রী আরও বলেন, রউফ উন নবীর পরিবারের সঙ্গে আমাদের পরিবারের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আমরা পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলাম। কিন্তু কোনোরকম বিরূপ সম্পর্ক আমাদের মধ্যে ছিল না। আজকে তার যোগদানের মাধ্যমে আমাদের মধ্যকার প্রতিদ্বন্দ্বিতাও দূর হয়ে গেল। আমরা এখন ভাই ভাইয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কৈজুরীর উন্নতীতে একসঙ্গে কাজ করব।

আওয়ামী লীগে যোগদানকারী কোতয়ালী বিএনপির সভাপতি রউফ-উন নবী জনসভায় তার বক্তব্যে বলেন, আমি দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। বিএনপি দীর্ঘদিন ফরিদপুরে ক্ষমতায় থাকলেও ফরিদপুরের কোনও উন্নয়ন হয় নাই। আওয়ামী লীগের বিগত ১০ বছরে ফরিদপুরের যে উন্নয়ন হয়েছে তা আমার মনকে নাড়িয়ে দিয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন ফরিদপুরের প্রতিটা কোনায় কোনায় উন্নয়ন করেছেন। তার মতো পরশ পাথরের ছোঁয়ায় ফরিদপুর আজ দেশের মধ্যে উন্নয়নের রোলমডেল।

তিনি বলেন, মোশাররফ ভাই ও আমি একই গ্রামের সন্তান। তিনি আমার প্রতিবেশী। মোশাররফ ভাইয়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি আজ আওয়ামী লীগে যোগদান করলাম। এ সময় রউফ-উন নবী ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন।
খালেদা জিয়া ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসনে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে তিনটি আসনের মনোনয়নপত্রই বাতিল করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা।

৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আপিলের শুনানির পর সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে খালেদা জিয়ার তিনটি আসনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বে চার সদস্যের নির্বাচন কমিশন এ সিদ্ধান্ত দেন। শুনানিতে প্রার্থিতা বহালের পক্ষে মত দেন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

এর বিপক্ষে মত দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ চারজন। রিটার্নিং অফিসারের এ সিদ্ধান্ত ও নির্বাচন কমিশনের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার পক্ষে রোববার তিনটি রিট করা হয়।

সোমবার শুনানি শেষে আদেশের জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার পৃথক তিনটি রিটের ওপর বিভক্ত আদেশ হয়। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ইসিকে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেন।

খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। বেঞ্চের ওপর বিচারপতি মো. ইকবাল কবির এতে দ্বিমত পোষণ করেন। আদালত পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত দুই মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া।