শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > সানি লিওনের যত অজানা কথা

সানি লিওনের যত অজানা কথা

শেয়ার করুন

বিনোদন ডেস্ক ॥ ইন্টারনেটের গুগল সার্চে গত এক বছরে বলিউডে তারকাদের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন তিনি। এমনকি বিশ্ব মিডিয়ায়ও সবচেয়ে বেশি কাভারেজ পেয়েছেন গত এক বছরে। বর্তমানে একাধিক ছবি ও আইটেম গানের প্রস্তাব রয়েছে তার হাতে। বলিউড নায়িকাদের সঙ্গে টক্কর দিয়ে পেয়েছেন সেরা যৌন আবেদনময়ীর খেতাব। তিনি আর কেউ নন, সময়ের আলোচিত পর্নো তারকা সানি লিওন।

কোন পর্নো তারকাকে নিয়ে এতো আলোচনা কিংবা এতো সংবাদ এর আগে আর কখনও দেখা যায়নি। এতোটা জনপ্রিয়তাও কখনও কোন পর্নো তারকা অর্জন করেননি, যেমনটা করে দেখালেন সানি লিওন। কোন পর্নো তারকার এটাই ছিল সর্বপ্রথম বলিউডে প্রবেশ।

পূজা ভাট পরিচালিত ‘জিসম-২’-তে কাজ করে নিজের যৌন আবেদনের মাধ্যমে সারাবিশ্বে ঝড় তোলেন তিনি। শুধু আবেদনময়ী রূপই নয়, প্রথম ছবি হিসেবে অভিনয়ও খারাপ করেননি সানি। পর্নো জগত থেকে বলিউড জয়ের এমন ইতিহাস ভারতে এর আগে আর নেই। এখন বলিউডে তুমুল ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। তবে সানির পথচলাটা কিন্তু খুব একটা সহজ ছিল না। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়েছে এখানে আসার জন্য। ১৯৮১ সালের ১৩ই মে কানাডার ওন্টারিওতে একটি পাঞ্জাবি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন সানি লিওন। তার বাবা বড় হয়েছেন ভারতের দিল্লিতে।

সেখান থেকেই সানিসহ কানাডায় চলে আসেন পরিবার নিয়ে। সানি লিওন ছোটবেলা থেকেই ছিলেন খুব খেলা পাগল। সে সময় থেকেই ছেলেদের সঙ্গে হকি খেলতেন তিনি। তবে একটু অন্যরকম একটি পরিবেশে বড় হন সানি। যার কারণে মাত্র ১১ বছর বয়সে চুমুর অভিজ্ঞতা হয় তার। আর ১৬ বছর বয়সে প্রথমবারের মতো একজন বাস্কেটবল খেলোয়াড়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়েন। তবে ১৩ বছর বয়সেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছিল বাইসেক্সুয়ালিটিতে (উভয় লিঙ্গ) আসক্ত তিনি।

এদিকে পর্নো জগতে প্রবেশের পূর্বে সানি একটি জার্মান বেকারিতে কাজ করতেন। কিছু সময় তিনি কর অফিসেও কাজ করেছেন। পড়াশোনা করা অবস্থায় তার এক ড্যান্সার বন্ধু তাকে পরিচয় করিয়ে দেন পেন্থহাউস ম্যাগাজিনের সাবেক স্বত্বাধিকারী বব গুচিয়েনের সঙ্গে। এর বদৌলতে পরবর্তীতে ২০০১ সালে ম্যাগাজিনটির জন্য বেশ কিছু নগ্ন ছবি তোলেন সানি। এ সময় আরও বেশ কিছু এডাল্ট ম্যাগাজিনে নগ্ন পোজ দিয়ে পর্নো জগতে আলোচনায় আসেন তিনি। ২০০৩ সালে সানি ‘পেন্থহাউস পেট অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কারে ভূষিত হন। একই বছর তিনি ভিভিড এন্টারটেইনমেন্টের সঙ্গে হার্ডকোর পর্নোগ্রাফির জন্য তিন বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। তবে সে সময় তিনি শুধুমাত্র লেসবিয়ান (সমকামী) ছবির জন্য কাজ করেন।

২০০৫ সালের ডিসেম্বরে ‘সানি’ নামে তার প্রথম পর্নো ছবি প্রকাশিত হয়। এরপর তিনি ভার্চুয়াল ভিভিড গার্ল সানি লিওন, সানি লাভস চিয়ার, স্কুয়ার্টিং এবং দ্য ফিম্যাল গার্ডলার ছবিগুলো প্রকাশ পেয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসেন। এ সময় তিনি ভাল পারফরমেন্সের জন্য এভিএন অ্যাওয়ার্ডও পান। এরপর ব্রাজিলে তিনি ভিভিড এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারে আরও দুটি ছবির শুটিং করেন। ২০০৭ সালে মুক্তি পায় ছবি দুটি। এই বছরে ছয় মাসের জন্য ভিভিডের সঙ্গে নিজের চুক্তি বাড়িয়ে নেন সানি। এই চুক্তির আওতায় এবার প্রথমবারের মতো পুরুষদের সঙ্গে বেশ কিছু পর্নো ছবি করেন। মেট এরিকসনের সঙ্গে তার করা ‘সানি লাভস মেট’ নামক একটি ছবির মাধ্যমে সারাবিশ্বে আলোচিত হন সানি। ২০০৯ সালে এ ছবির জন্য এভিএন অ্যাওয়ার্ডে ‘বেস্ট পারফরমার অফ দ্য ইয়ার’ খেতাব জেতেন।

এরপর আরও একাধিক ছবিতে কাজ করে সাফল্য পান। এ সময় মেটের সঙ্গে সম্পর্কেও জড়িয়ে যান সানি। যদিও ক্যারিয়ারের খাতিরে সেই সম্পর্ক বেশি দূর এগিয়ে নেননি সানি। ২০০৯ সালের শেষের দিকে সানি লিওন ‘সানলাস্ট পিকচারস’ নামের একটি প্রোডাকশন হাউস শুরু করেন, যেখান থেকে তিনি নিজেই পর্নো ছবি নির্মাণ করেন। এর ডিস্ট্রিবিউটর ছিল ভিভিড এন্টারটেইনমেন্ট। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন পর্নো ওয়েবসাইটের সঙ্গে চুক্তি করেন সানি লিওন। এর ফলে ইন্টারনেটে পর্নো তারকা হিসেবে খুব সহজেই সারা বিশ্বে আগের চেয়েও অনেক বেশি পরিচিতি লাভ করেন সানি। হিসাবে করে দেখা যায়, এ সময় ইন্টারনেট থেকে তার যে আয় হতো, তার ৬০ ভাগই আসতো ভারত থেকে। এদিকে অ্যাপেলের সঙ্গেও বেশ কিছু কাজ করেন সানি। বিভিন্ন ম্যাগাজিন এবং ইন্টারনেট সাইটের শীর্ষ পর্নো তারকা হিসেবে বেশ কয়েকবার ঘোষণা করা হয় সানি লিওনের নাম। এদিকে পর্নো ছবি ছাড়াও বিভিন্ন চ্যানেলেও কাজ করেছেন সানি। ২০০৫ সালে তিনি এমটিভি অ্যাওয়ার্ডের রেড কার্পেট রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেন। ‘দ্য গার্ল নেক্সট ডোর’ এবং ‘লিভিন ইট আপ’ ছবিতেও কাজ করেছেন তিনি।

এছাড়াও বিভিন্ন চ্যানেলের শোতে বিভিন্ন সময় কাজ করেছেন সানি লিওন। ২০১১ সালে ভারতের কালারস টেলিভিশনের ‘বিগ বস’ রিয়েলিটি শোতে প্রতিযোগী হয়ে আসেন সানি। আর এই শো’ই তার লাকি চার্ম হিসেবে কাজ করে। কারণ, সঞ্জয় দত্তের উপস্থাপনায় এ শো’র মাধ্যমে সর্বপ্রথম সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সম হন তিনি। এরপর একাধিক বলিউড ছবির প্রস্তাব আসে তার কাছে। কিন্তু ভাটদের ‘জিসম-২’ ছবিতে কাজ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন সানি। ছবিতে তার যৌন আবেদনময়ী রূপ বেশ অন্যরকমভাবে উপস্থাপন করা হয়। এ ছবির মাধ্যমেই মূলত ব্যাপক আলোচনায় আসেন সানি। যার কারণে বলিউডে স্থায়ী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বর্তমানে স্বামীসহ মুম্বইয়ের একটি ফ্যাটে থাকছেন সানি। ‘জিসম-২’-এর পর কিছুদিন আগেই ‘শুটআউট এট ওয়াদআলা’ ছবির ‘লায়লা’ শিরোনামের আইটেম গানে ঘাঘরা চোলিতে কাজ করেও প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। মূলত তার ব্যাপক যৌন আবেদনই তাকে বলিউডে ব্যস্ত হতে সহায়তা করছে।

সম্প্রতি একতা কাপুরের ‘রাগিনি এমএমএস’ ছবির কাজ শেষ করেছেন তিনি। এ ছবিতেও রগরগে সানি লিওনকেই দর্শকরা পাবেন। এদিকে অন্তত আরও দুই থেকে তিন বছর বলিউডে কাজ করতে চান ৩৩ বছর বয়সী এই পর্নো তারকা। আর ঠিকভাবে এখানে সেটেল হতে পারলে আর পর্নো জগতে ফিরে যাবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। বলিউডে স্থায়ীভাবে কাজ করে এখানেই বাকি জীবনটা কাটিয়ে দেওয়ার স্বপ্নে এখন বিভোর বিশ্বের শীর্ষ এই পর্নো তা