বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আদালত আমাকে খালাস দিয়ে ন্যায়বিচার সম্পন্ন করায় আমি আনন্দিত। আদালত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় জড়িতদের নির্দেশনা দিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব আমার দেশে ফেরার ব্যবস্থা করার। তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়াটা সম্পূর্ণ হলেই আমার পক্ষে ভাল। আমি দ্রুত দেশের মানুষের কাছে ফিরতে চাই। বাংলাদেশে ফিরতে চাই।
ভারতের শিলং থেকে শনিবার টেলিফোনে এসব কথা বলেন সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ। তার বিরুদ্ধে আনা অনুপ্রবেশের অভিযোগ শুক্রবার নাকচ করে দেন দেশটির মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ের প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। একইসঙ্গে তাকে দ্রুত বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনেরও নির্দেশ দেন আদালত।
তৃতীয় কোনো দেশে আশ্রয় নেয়ার পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি কখনোই চাইনি বা কোনো কর্তৃপক্ষকেও কোনোদিন বলিনি তৃতীয় কোনো দেশে যেতে চাই।
দেশে ফিরে কী আবার রাজনীতিতেই সক্রিয় হবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা রাজনীতির মানুষ, তাই রাজনীতিতেই সবসময়ই আছি পৃথিবীর যে দেশেই থাকি না কেন। আমার বিরুদ্ধে ৭০ থেকে ৮০টি মামলা রয়েছে। সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমি প্রস্তুত আছি।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, আমাদের এমন কোনো নেতাকর্মী নেই যার বিরুদ্ধে সরকার মিথ্যা মামলা দেয়নি। এখন শুনছি গায়েবি মামলা দেয়া শুরু করেছে। সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সবসময় শঙ্কা রয়েছে। যে অবৈধভাবে সরকার টিকে আছে তা সভ্য দুনিয়ার ইতিহাসে বিরল।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে এখন বিচার ব্যবস্থা নেই। আইনের শাসন নেই, মিডিয়ার কোনো স্বাধীনতা নেই। গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক সব প্রতিষ্ঠান সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। যখন খুশি মানুষকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এসব থেকে জনগণ মুক্তি চায়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু সেটা নির্ভর করবে কত দ্রুত দেশে ফিরে যাব তার ওপর। নিজের শারীরিক অবস্থা নিয়েও কথা বলেন সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, এখন মোটামুটি সুস্থ আছি।
২০১৫ সালের ১০ মার্চ ঢাকার উত্তরা থেকে অপহৃত হন সালাহউদ্দিন আহমেদ। দুই মাস পর ১১ মে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ের গলফ লিংক এলাকার একটি রাস্তায় উদ্ভ্রান্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাকে। পরে অনুপ্রবেশের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করে মেঘালয় পুলিশ এবং ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। সূত্র: যুগান্তর