শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > পদ্মা সেতুর ৬০ শতাংশ কাজ শেষ, যা খুবই গৌরবের: শেখ হাসিনা

পদ্মা সেতুর ৬০ শতাংশ কাজ শেষ, যা খুবই গৌরবের: শেখ হাসিনা

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
পদ্মা সেতুর ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে, যা খুবই গৌরবের বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার দুপুরে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় গোলচত্বরে সুধীসমাবেশের ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রথমে পদ্মা সেতুর কাজ আমি শুরু করেছিলাম। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে ফের ক্ষমতায় এসে কাজ শুরু করি।

তিনি বলেন, নিচে রেল ও ওপরে সেতু- এমন একটি ডিজাইন তিনি অনুমোদন করেন। তখন বিশ্বব্যাংকসহ অনেকে এগিয়ে এসেছিল কাজটি করার জন্য। কিন্তু দেশের কিছু মানুষ আছে, যারা দেশের স্বার্থ দেখেন না।

গ্রামীণ ব্যাংক মানুষকে ক্ষুদ্রঋণ দিত ও উচ্চহারে সুদ নিত জানিয়ে তিনি বলেন, ১৯৮৫-৮৬ সাল থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আমার পরিচয়। তখন তাকে সহায়তা করেছিলাম। তিনি বলেছিলেন- তাকে যদি একটি ফোনের অনুমোদন দেয়া হয়, তবে তার লাভ দিয়ে গ্রামীণ মানুষের উপকার করতে পারবেন। কিন্তু ওই ফোনের কোনো লভ্যাংশ গ্রামীণ ব্যাংক পায়নি।

‘৯৮ সালে ব্যাংকটি বিপদে পড়লে ৪০০ কোটি টাকা সহায়তা দেয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের আইনে কোনো ব্যক্তি ৬৯ বছর পর্যন্ত এমডি থাকতে পারবেন। কিন্তু অনুমোদন ছাড়াই ড. ইউনূস ১০ বছর এমডির পদ দখল করে রাখেন ও সরকারি বেতন তিনি নিতেন।

‘তখন তাকে নোটিশ দেয়া হয়, তিনি আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে এমডি পদ দখল করে রেখেছেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, তাকে কখনও অসম্মান করতে চাইনি, তার সঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও গওহর রিজভী গিয়ে দেখা করে তাকে গ্রামীণ ব্যাংকের উপদেষ্টা করে রাখার প্রস্তাব দেন। তিনি তা না মেনে দুটি মামলা করলেন। কিন্তু আইনে দেখা গেল, ৬০ বছরের বেশি তিনি এমডি থাকতে পারেন না।

‘ইচ্ছা করলে অবৈধভাবে নেয়া তার ১০ বছরের বেতন নিয়ে নিতে পারতেন আদালত। আদালত তা নেননি। কিন্তু ড. ইউনূস ক্ষেপে গেলেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদে রাখতে তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিলারি ক্লিনটন ফোন করেছেন, ব্রিটেনের শেরি ব্লেয়ার ফোন করলেন। কিন্তু আমরা বলেছি- এটি আইনে নেই। আইনে পড়ে না। তাকে সম্মান রক্ষার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল, সেই সম্মান তিনি রক্ষা করেননি।

‘পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করলেও কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি বিশ্বব্যাংক।’

শেখ হাসিনা বলেন, তখন আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে এসে হুমকি দেয়া হতো, ইউনূসকে এমডি না রাখলে পদ্মা সেতুতে হেল্প করা হবে না। পরবর্তী সময়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করার সিদ্ধান্ত নিই।

এ সময় বিস্ময় প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, যিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, তাকে কেন একটি ব্যাংকের এমডি থাকতে হবে।