কালিয়াকৈর ব্যুরো ॥
গাজীপুর: কালিয়াকৈরে গত সোমবার বিকেলে ঠিকাদারদের অবহেলায় প্লান্স সেটের পিলারের সংযোগ খসে পড়ে এক শ্রমিক নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিহত শ্রমিক মোজাম্মেল হক (৩০) নেত্রকোনার পূর্বধলা থানার গাগড়াপাড়া এলাকার আকরাম আলীর ছেলে ।
এলাকাবাসী ও আহত শ্রমিক সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার টান-কালিয়াকৈর এলাকায় সেনা কর্মকর্তা হুমায়ূন কবীর ও ফেরদৌস মিয়ার যৌথভাবে নতুন বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য পাইলিং কাজ চলছে। সেখানে পাইলিং করার জন্য মরচে পড়া লোহার পাইপ ও নাট-বল্টু দিয়ে প্লান্স সেটটি বসানো হয়। কিন্তু সেখানে বা পাশের রাস্তায় কোনো সতর্ক সাইবোর্ড, সীমানা বেড়া না দিয়ে অসতর্কতাভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। গত সোমবার বিকেলে পাইলিং কাজের সময় ওই প্লান্স সেটের মরচে পড়া পিলারের সংযোগ খসে পড়ে। এতে পাইলিং শ্রমিক ৪ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে পাইলিং শ্রমিক মোজাম্মেল হক ঘটনাস্থলে মারা যান। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় পথচারী কাশেম মিয়া কে স্থানীয় দেওয়ান ডিজিটাল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানার এসআই কামাল হোসেন ঘটনাস্থলে যান। ওই পুলিশ কর্মকর্তা ময়নাতদন্ত ছাড়াই মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ঠিকাদার রাজ্জাক, মিজান ও মজিবরের সঙ্গে যোগসাজোসে নিহতের লাশ তার গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দেন বলে স্থাণীয়দের অভিযোগ। আহত পথচারী কাশেম মিয়া জানান, সেখানে বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে, তার পাশ দিয়ে একটি রাস্তা বয়ে গেছে। কিন্তু ঠিকাদাররা সেখানে কোনো সর্তক সাইবোর্ড, সীমানা বেড়া না দিয়ে মরচে পড়া পিলার দিয়ে অসর্তকতাভাবে কাজ করছে। হঠাৎ পিলারের সংযোগস্থল খসে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে ফোন করে ঠিকাদার রাজ্জাক ও মজিবর মিয়াকে পাওয়া যায়নি। তবে এক শ্রমিক নিহতের কথা স্বীকার করে একই কাজের অপর ঠিকাদার মিজান হোসেন মুঠোফোনে জানান, শুনেছি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মিমাংসা করে নিহতের লাশ তার গ্রামে পাঠিয়েছে।
এব্যাপারে কালিয়াকৈর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন জানান, আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতের লাশ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।