শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > আন্তর্জাতিক > নরওয়েতে অভিবাসীদের টিকে থাকার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশেষ প্রশিক্ষণ

নরওয়েতে অভিবাসীদের টিকে থাকার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশেষ প্রশিক্ষণ

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
নরওয়ের ৫০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ৪ লাখ এশিয়া, আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা অভিবাসী। পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে সব থেকে উদারপন্থী দেশ হিসেবে পরিচিত নরওয়ে। কিন্তু এখানে এসে নতুনভাবে জীবন শুরু করা ঐ অভিবাসীদের অনেকের জন্যে এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়া নরওয়ে সমাজে টিকে থাকতে তাদের সহায়তায় আয়োজন করা হচ্ছে বিশেষ প্রশিক্ষণের ক্লাস।

বিবিসি এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সেখানে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা েেহয়ছে বিশেষ উদ্দেশ্য মাথায় রেখে। এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ৪ লাখেরও বেশি অভিবাসীকে জায়গা দিয়েছে নরওয়ে। তাদের পূর্ণাঙ্গভাবে সহায়তার জন্য বিশেষ ক্লাস করানো হচ্ছে।

সেখানে প্রশিক্ষণদাতা মারগারেড বার্ক শুরুতেই নিজের পরিচয় তুলে ধরছিলেন প্রশিক্ষণ নিতে আসা অভিবাসীদের কাছে। তিনি বলেন, ‘এই প্রশিক্ষণে আমি গুরুত্ব দিচ্ছি নিরাপত্তার জন্য একদল নারীকে একতাবদ্ধ থাকার বিষয়টিকে। আজকের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতা। কিন্তু ভিন্ন এক সংস্কৃতির মাঝে কিভাবে শিশুদের বড় করে তুলতে হয় সে বিষয়েও আমার কিছু প্রশ্ন আছে।’

এ ছাড়া এই প্রশিক্ষণ অভিভাবকদের চিন্তা চেতনা কিভাবে বদলে দেবে সে বিষয়েও বলছিলেন প্রশিক্ষণদাতা মারগারেড বার্ক।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এটা বেশ ভালো কাজ করছে। এই কোর্সের শেষে তাদের কাছে প্রশ্ন থাকবে যে একজন বাবা মা হিসাবে তাদেরকে সবচেয়ে বেশি হতাশ করবে কোন বিষয়টি। যদি আপনার মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয় সেটি, নাকি আপনার ছেলেটি কাউকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে থাকে সেটি। অনেক আলাপ আলোচনার পর আমরা একমতে পৌঁছাতে পারি যে এমন ক্ষেত্রে মেয়েটি হয় ধর্ষণের শিকার অর্থাৎ ভূক্তভোগী হয়েছে কিন্তু ছেলে সন্তানটি যদি হামলাকারী হয় সেটি বাবা মার জন্য বেশি হতাশাজনক।’
সে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সিরিয়া, ইরাক এবং ইথিওপিয়া থেকে নারীরা এসে এখানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। বিভন্নভাবে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। ইথিওপিয়া থেকে আসা একজন অভিবাসী ওয়ার্কিয়ে। তিনি বলছিলেন, এখানে এসে আমি জানতে পারলাম আমার সাথে কোনো কিছু ঘটলে কোথায় আর কার সাথে যোগাযোগ করতে হবে। সেই সাথে কেউ যৌন হয়রানির কিংবা ধর্ষণের শিকার হলে তাকে কিভাবে সাহায্য করতে হবে। এখন এই ইস্যুতে আমিও পারবো অন্য কাউকে শেখাতে।

প্রায় চার বছর আগে সিরিয়া থেকে শরণার্থী হয়ে নরওয়ে এসেছে মায়সাম এবং মোহাম্মদ। তারা এখন নরওয়ের ভাষায় কথা বলতে পারে। ভালো চাকরিও পেয়েছে তারা। সে সাথে পেয়েছে বেশকিছু নরজিয়ান বন্ধুও। তারা বলছেন, ‘যখন আমরা নরওয়েতে চলে আসলাম তখন এখানকার সরকারের কাছ থেকে বেশ ভালো সহায়তা পেয়েছি। দেশটি সম্পর্কে এবং এখানকার ভাষা সম্পর্কে বেশকিছু কোর্স করার সুযোগ হয়েছে।’

সিরিয় এই নারী অভিবাসীরা মনে করেন, এখানে যে ধরণের কোর্স করানো হচ্ছে মেয়েদের এ ধরণের সুযোগ দরকার। যাতে করে তারা সহিংসতা এবং যৌন সহিংসতা বিষয়েও আরও বেশি করে জানতে পারে।-বিবিসি বাংলা