স্টাফ রিপোর্টার ॥
আজ ৭ জুন। ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস। এ উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল সাড়ে ৯টায় প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শ্রদ্ধা নিবেদন করে কিছু সময় নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। পরে তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত বাড়িতে কিছু সময় কাটান শেখ হাসিনা। পরে ৯টা ৪৮ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ৩২ নম্বর থেকে সংসদের উদ্দেশে রওনা হন।
প্রধানমন্ত্রী চলে যাওয়ার পর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, যুব মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ সূর্যোদ্বয়ের পর পরই বঙ্গবন্ধু ভবন, দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশব্যাপী উদযাপন করতে আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সব শাখাসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মী, সমর্থক ও জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৪০ সালে লাহোর প্রস্তাব পেশের মাধ্যমে যেমনি পাক-ভারত উপমহাদেশের জনগণ ব্রিটিশ শোষকদের এদেশ থেকে তাড়ানোর জন্য ঐকমত্য হয়েছিল, ঠিক তেমনি ১৯৬৬ সালের ৭ জুন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ছয় দফা দাবির পক্ষে দেশব্যাপী তীব্র গণআন্দোলনের সূচনা হয়। এই দিনে আওয়ামী লীগের ডাকা হরতালে টঙ্গী, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে পুলিশ ও ইপিআরের গুলিতে মনু মিয়া, শফিক ও শামসুল হকসহ ১০ জন বাঙালি শহীদ হন। এরপর থেকেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আপসহীন সংগ্রামের ধারায় ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের দিকে এগিয়ে যায় বাঙালি জাতি।