স্টাফ রিপোর্টার ॥
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইসেন্স এর অফিস সহকারি রবিউল ইসলাম। চড়েন বিলাসবহুল গাড়িতে। কখনো বনানী কখনো পল্লবীর তিনটি আলিশান ফ্লাটের কোনটাতে রাত কাটান। সাভার, আশুলিয়া ছাড়াও তার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপায় রয়েছে নামে বেনামে কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি। এসবই করেছেন এই সামান্য চাকরি করেই।
তার সহকর্মীরা জানান, সিভিল এভিয়েশনের সাবেক এক কর্মকর্তার আস্থাভাজন হওয়ায় চাকরি দেয়া, বদলি বাণিজ্যসহ নানা তদবির করেই কোটিপতি বনে যান রবিউল। এছাড়া ‘পল্লীশক্তি’ নামের একটি এনজিও করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে ওই এনজিওটি বন্ধ করে দেন। ইটকল ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসায় নিন্ম মানের সোলার প্যানেল সরবরাহের নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। আর তার এ কাজে সহায়তা করেছেন ইটকলের ডিপুটি সিও মনিরুল ইসলাম ও খালিকুজ্জামান নামের এক রাজনীতিক।
সম্প্রতি তার এসব অবৈধ সম্পদের বিষয়ে দুদুকে অভিযোগ জমা পড়েছে। দুদক সূত্র জানিয়েছে, এ ব্যাপারে শিগগিরই তদন্তে নামবেন দুদক কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে রবিউলের কাছে একাধিকবার মুঠোফোনে জানতে চাইলে ব্যস্ততা দেখিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।