শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > সারাদেশ > কালীগঞ্জ ওসির হস্তক্ষেপে বিদ্যুৎপৃষ্ঠে নিহত শ্রমিকের পরিবার পেল ৩ লাখ টাকার অনুদান

কালীগঞ্জ ওসির হস্তক্ষেপে বিদ্যুৎপৃষ্ঠে নিহত শ্রমিকের পরিবার পেল ৩ লাখ টাকার অনুদান

শেয়ার করুন

মো. মনিরুল আলম, কালীগঞ্জ ব্যুরো ॥
গাজীপুর : কালীগঞ্জে বিদ্যুৎ পৃষ্ঠ হয়ে ইমাম হাসান লিটন (২২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু ঘটে। ঘটনাটি উপজেলার বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের খলাপাড়া গ্রামের এ্যামিগো বাংলাদেশ লিমিটেড (এবিএল) নামের নির্মাণাধীন একটি চায়না কারখানায়।
ঘটনার পর কোন অনুদান ছাড়াই নিহতের মরদেহ তরিগড়ি করে গ্রামের বাড়ি পাঠানোর উদ্যোগ নেয় এবিএল কর্তৃপক্ষ। ঘটনার পর মঙ্গলবার দুপুরে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুবকর মিয়ার হস্থক্ষেপে নিহতের পরিবার পেল ৩ লাখ টাকার অনুদান।
নিহত লিটন নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার বিলালপুর গ্রামের আসকান আলীর ছেলে। তিনি সদ্য এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করে ঘটনার ৬দিন আগে কালীগঞ্জের এ্যামিগো বাংলাদেশ লিমিটেডে (এবিএল) সাধারণ শ্রমিকের কাজ নেন।
নিহতের চাচাত ভাই আশিকুর রহমান জানান, লিটন গত ১৭ মে সন্ধ্যায় কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎ পৃষ্ঠ হয়। পরে সহকর্মীরা তাকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ওই কারখানায় আসে মরদেহ নিতে। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্থান্তর করলেও কোন প্রকার অনুদান দেয়নি। ক্ষিপ্ত হয় সহকর্মী ও স্থানীয়রা। খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন এবং মরদেহ থানা হেফাজতে নিয়ে আসেন। পরে নিহতের মরদেহ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। পরিবারের পক্ষে চাচাত ভাই মেহেদী হাসান রাব্বি বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন।
নিহতের বড় ভাই লিখন জানান, ওই কোম্পানী তার ভাইয়ের মরদেহ যখন কোন অনুদান ছাড়া গ্রামে পাঠানোর চেষ্ঠা করে, তখন তার সহকর্মী ও স্থানীয়দের সহেযাগীতায় এবং কালীগঞ্জ থানার ওসি’র হস্থক্ষেপে তার পরিবার ৩ লাখ টাকার অনুদান পায়। সোমবার চীনা কন্সট্রাকশন কোম্পানী সি আর সি লিঃ এর পক্ষে প্রজেক্ট ম্যানেজার মি: সুই ও ইঞ্জিনিয়ার মি: চেন ওই টাকা তার কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। পরে কালীগঞ্জ সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে অনুদানের টাকা তার মা রাবেয়া বেগমের নামে ডিডি করে পাঠানো হয়। তিনি আরো জানান, ওই ডিডি করতে ৩৬৫ টাকা খরচ হয়। সেই টাকাও ওসি’র পকেট থেকে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুবকর মিয়া বলেন, দেখেন মানুষ বেঁচে থাকে কয়দিন? আমি আমার জীবদ্দশায় যদি ভাল কিছু কাজ করে যেতে পারি সেই কাজই আমার নামকে সারা জীবন বাঁচিয়ে রাখবে। তবে ওটা নিহতের পরিবারের প্রাপ্য ছিল আমি শুধু একটু সহযোগীতা করেছি।