বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য, ইব্রাহিক কার্ডিয়াক হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না বলেছেন, বিএনপি যে সকল অপরাধ করেছে সেগুলো কখনো স্বীকার করে না বলেই তাদের নেত্রীর মুক্তি জনগণ নির্ভর হয়েছে। কিছু দিন আগে বিএনপির এক নেতাই বলেছেন বেগম জিয়ার মুক্তি জনগণের আন্দোলনের মাধ্যমে করতে হবে।
বেসরকারি টেলিভিশন ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির ‘নির্বাচনের ট্রেন’ নামে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সব সময় চায় সবাইকে নিয়ে নিরপেক্ষ ও জনগণের মতামত নিয়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক, এতে ফলাফল যাই হোক না কেন। আওয়ামী লীগ সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করতে চায়। আ.লীগ তার দলের কথা বলতে পারে। কিন্তু অন্য দলের কথা বলা সৌভনীয় না, যে আপনাকে আসতেই হবে নির্বাচনে। জোর করে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব আ.লীগের না। নির্বাচনে না আসা যে কোনো দলের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু যদি নির্বাচনের নামে নির্বাচন প্রতিহত করতে চান, বন্ধ করতে চান। নির্বাচন প্রতিহতের নামে মানুষকে পুড়িয়ে মারেন তাহলে কিন্তু তাকে গণতান্তিক পন্থা ধরা যাবে না। বর্তমানে বিএনপির মধ্যে যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে সেটা নির্বাচনের জন্য ভালো নয়। প্রত্যেকটি দলের নির্বাচনে যাওয়ার জন্য মনোবল চাঙ্গা থাকতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির পাতানো নিবার্চনের অভিজ্ঞতা নেই কিন্তু নিজে নিজে ভোট দেয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ১৯৭৫ থেকে যত নির্বাচন করেছে বিএনপি তার সবগুলোই নিজে নিজেই ভোট দিয়ে জয় লাভ করেছিল। তাই পাতানো নির্বাচনের দরকার হয়নি। বিএনপি যদি এতিম খানার টাকার বিষয়ে ভুল স্বীকার করতো তাহলে তাদের নেত্রীকে কারাবন্দি থাকতে হতো না। বিএনপি কোনো দিন ভুল স্বীকার করে না বলেই জনগণের ওপর নির্ভর করে তাদের নেত্রীর মুক্তি। কৌশল দিয়ে অতীতে নির্বাচনে যাওয়া যেতো এখন জনগণের ভালোবাসার ওপর নির্ভর করে নির্বাচন হয়। জনগণের কথা চিন্তা করতে হবে। সূত্র: ইন্ডিপেনডেন্ট টিভি