শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > আইপিওর দিকে ঝুঁকছেন বিনিয়োগকারীরা

আইপিওর দিকে ঝুঁকছেন বিনিয়োগকারীরা

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজার স্থিতিশীল না হওয়ায় প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আবেদনে বিনিয়োগকারীদের হিড়িক পড়েছে। সম্প্রতি ইউনিট প্রতি শেয়ারের বিপরীতে সর্বনিম্ন ১০ থেকে ৪৭ গুণ আবেদন করেছেন তারা। বিনিয়োগকারীদের মতে, মহাধসের পর গত তিন বছরে ধাপে ধাপে আরও চারবার ছোট ছোট ধস হয়েছে। ফলে তিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা তি পুষিয়ে নিতে সেকেন্ডারি মার্কেট রেখে আইপিওতে ঝুঁকছেন সংশ্লিষ্ট সূত্রে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ডিএসই’র সাবেক সভাপতি শাকিল রিজভী বলেন, সেকেন্ডারি মার্কেটের অবস্থা ভাল না হওয়ায় সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এখন কিছু লাভের আশায় আইপিও মার্কেটের দিকে ছুটছেন।

এ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ঋণ নিয়ে পুঁজিবাজারে তিগ্রস্ত হওয়া সংখ্যাটাই বেশি। বর্তমানে ঋণ নিয়ে ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে ইক্যুইটি মাইনাসে রয়েছে ১৬ লাখ বিও অ্যাকাউন্ট। ডিএসই’র তথ্য মতে, চলতি বছরে (জানুয়ারি-আগস্ট) মোট ১৪টি কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে আইপিও’র মাধ্যমে টাকা তুলে নিয়েছে। এর মধ্যে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির এক বা ইউনিট প্রতি শেয়ারের বিপরীতে আবেদন করেছে ৪৭ জন বিনিয়োগকারী। সর্ব নিম্ন এক লট শেয়ার পাওয়ায় বিপরীতে আবেদন করেছে ১০ গুণ। তবে বিপরীতে চিত্র ছিল ২০০৯ কিংবা ২০০৮ সালের পুঁজিবাজারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যে কোন ব্যবসার জন্য ক্রেতা-বিক্রেতার চাহিদা অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি যেখানে মুনাফা করা যায় না সে বাজারে ক্রেতার অভাব হবে- এটাই স্বাভাবিক। নতুন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা যদি তিগ্রস্ত হয় তাহলে আইপিও বাজার হোঁচট খেতে পারে। তাই বিনিয়োগের সময় দেখে জেনে বুঝে বিনিয়োগের পরামর্শ দেন তারা। সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্র মতে, পুঁজিবাজারে বর্তমানে প্রাতিষ্ঠান ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর বিও সংখ্যা ২৬ লাখ। তার মধ্যে ১২ লাখ বিনিয়োগকারীর বিও অ্যাকাউন্ট আইপিওতে বিনিয়োগ করেন।

তার পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। গত এক মাসে এ ধরনের বিও হিসাব বেড়েছে ১০ হাজার। আইপিও বাজারে আসলে নতুন করে বিও সংখ্যা বৃদ্ধি হয় বলে জানান ডিএসইর সাবেক সিএফও শুভ্র কান্তি চৌধুরী। ফার্স্ট সিকিউরিটিজের কর্মকর্তা বলেন, দরপতনের কবল থেকে মুক্তি না মেলায় ব্যবসা নেই। শুধু মাত্র নবায়ন ফি না দেয়ায় সম্প্রতি ছয় শত বিও অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়েছে। তবে কিছু আইপিও আসছে এমন খবরের পর বিও হিসাব বাড়ছে বলে জানান তিনি। ডিএসইয়ের সূত্র মতে, চলতি বছরের সর্ব প্রথম আইপিওতে আসে ওষুধ খাতের কোম্পানি সেন্ট্রাল ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেড।

কোম্পানিটির ২৮ হাজার শেয়ারের বিপরীতে আবেদন জমা পড়ে ১০ লাখ ৫৬ হাজার ২৭৩টি। যা ইউনিট প্রতি আবেদনের ৩৩ গুণ বেশি। এককভাবে এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারে বিপরীতে আবেদন পড়ে নয় গুণ, আইসিবি, একমিক্যাল, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড কোম্পানির ১০ হাজার শেয়ারের বিপরীতে আবেদন পড়ে ২৮ গুণ। ফ্যামিলি ট্র্যাসের শেয়ারের বিপরীতে আবেদন পড়ে ৩২ গুণ। বাংলা ওয়েন্ডরস ট্রেমপেলাস্ট্রিকস লিমিটেডের ৩৪ গুণ। ওরিয়ন ফার্মার ১৯ গুণ। গোল্ডেন হারভেস্ট আরগন ইন্ডাস্ট্রিজের বিপরীতে ৪২ গুণ। গোল্ডেন হ্যোইভি কেমিক্যালস লিমিটেডের ৩০ গুণ। প্রিমিয়ার সিমেন্টের বিপরীতে ৪৪ গুণ। আরগন ডিমস লিমিটেডের বিপরীতে চার গুণ। সামিট পূর্বাচলের ইউনিট শেয়ারের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ২২ গুণ।