শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > খেলা > জিতব যোগ্যতায়, প্রতারণা করে নয়: ওয়ালশ

জিতব যোগ্যতায়, প্রতারণা করে নয়: ওয়ালশ

শেয়ার করুন

স্পোর্টস ডেস্ক ॥

বল টেম্পারিং ইস্যুতে ক্রিকেট বিশ্বের সমালোচনা কেন্দ্রবিন্দুতে এখন অস্ট্রেলিয়া। এমনকি খোদ অস্ট্রেলিয়ান বোর্ডও তাদের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন। ভক্ত-সমর্থকদের প্রশ্নে অজিদের অতীতের সব রেকর্ড। আর এ নিয়ে এবার ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের একসময়কার বিধ্বংসী ফাস্ট বোলার ও বর্তমানে বাংলাদেশ দলের বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ।

একদিকে নেতৃত্ব থেকে সরে যাওয়া স্টিভেন স্মিথ ক্রিকেট মাঠে প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত। অন্য দিকে ‘জেন্টলম্যান্স গেম’-এর পতাকাবাহী ওয়ালশ। বল হাতে নির্মম হয়েও কখনো ক্রিকেটের স্পিরিটের বাইরে যাননি। ভয়ঙ্কর হয়েও সুন্দর। পাকিস্তানে বিশ্বকাপের ম্যাচে নন-স্ট্রাইকার প্রান্ত ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া সেলিম জাফরকে আউট না করে ম্যাচ হেরে যান। সেই ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় ক্যারিবীয়রা। নিদাহাস ট্রফিতে টাইগারদের হেড কোচের দায়িত্ব পালনের পর শ্রীলঙ্কাতেই ছুটি কাটাচ্ছেন।

সেখান থেকে ফোনে বল বিকৃতির নতুন বিতর্ক নিয়ে একান্ত সাক্ষাৎকার দিলেন কলকাতার পত্রিকা আনন্দবাজারকে। বলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়েও। বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য সেই অংশটুকু তুলে ধরা হলো।

প্রশ্ন: বল বিকৃতির ঘটনা জানার পরে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
কোর্টনি ওয়ালশ: আমি শোকাহত। যখন জানলাম এ রকম একটা ঘটনা ঘটেছে, বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। তার পরে ফুটেজটাও দেখলাম। বিস্ময়কর! দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি, ক্রিকেটে এ রকম কিছু কখনও দেখতে হবে।

প্র: ক্রিকেটকে ‘জেন্টলম্যান্স গেম’ বলা হয়। আপনি বিধ্বংসী পেস বোলার হয়েও সব চেয়ে ভদ্র ক্রিকেটারদের এক জন। মনে হচ্ছে কি ক্রিকেট স্পিরিটের জন্য খুব অন্ধকার দিন ছিল শনিবার?
ওয়ালশ: ক্রিকেট কেন, কোনও খেলাতেই এই ধরনের ঘটনার কোনও জায়গাই নেই। আমি সব সময়েই ‘স্পিরিট অব দ্য গেম’-এ বিশ্বাস করে এসেছি। অবশ্যই জিততে চাই। কিন্তু সঠিক মনোভাব, সঠিক পথে জিতব— এই ছিল আমার ক্রিকেট মন্ত্র। এই মন্ত্রেই আমাকে বড় করা হয়েছিল। কোনও দিন এর অন্যথা করার কথা ভাবিইনি। প্রতারণা করে জেতাটা আবার জেতা নাকি? তার চেয়ে মাথা উঁচু করে হার সহ্য করা অনেক সুখের। বল বিকৃতির ঘটনা কখনওই মেনে নেওয়া যায় না। আশা করব, এ জিনিস শেষ বার দেখলাম। যেন আর কখনও না ঘটে।ংঃুষব=”রিফঃয:১০০%”>
প্র: রিভার্স সুইং করানোর জন্যই তো বল বিকৃতির আবির্ভাব। আপনি ক্রিকেটজীবনে কখনও সন্দেহজনক কিছু দেখেছেন বা শুনেছেন?
ওয়ালশ: রিভার্স সুইং করাতে বলের একটা দিক ভারী করে তুলতে হয়। সেটার জন্য থুতু বা আঠালো কিছু লাগানো প্রয়োজন। এই বিশেষ ধরনের সুইংয়ের জন্য বলটাকে তৈরি করতে হয়। কারও নাম করতে চাই না। তবে আমরা খেলার সময়েও শুনেছি যে, লোশন বা স্কিনক্রিম ব্যবহার করা হচ্ছে বলকে তৈরি করার জন্য। জানতাম, অনেকেই সানস্ক্রিন বা স্কিনক্রিম ব্যবহার করছে বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে। মুখ থেকে ক্রিম বলেও লাগানো হচ্ছে, অনেকেই এমন কথা বলত। এখন তো দেখছি, বাইরে থেকে অন্য দ্রব্য নিয়েও মাঠে ঢুকছে ক্রিকেটারেরা বল বিকৃতি ঘটাবে বলে। সেটা দিয়ে বলের আকৃতি নষ্টও করে ফেলা হচ্ছে। কত রকম সব হাতিয়ারের কথাই তো শুনছি। এটা নিশ্চয়ই ক্রিকেট নয়।

প্র: বল বিকৃতি না ঘটিয়ে কি রিভার্স সুইং করানো সম্ভব?
ওয়ালশ: অবশ্যই সম্ভব। এটা একটা বিশেষ ধরনের স্কিল। আয়ত্তে আনতে পারলে দারুণ অস্ত্র। তার জন্য বল বিকৃতি ঘটাতেই হবে, কে বলল! সমস্যাটা হচ্ছে, বলটাকে তৈরি করতে গিয়ে অনেক সময় অন্যায় পথ ধরা হয়। শর্ট-কার্ট রাস্তা। ওদের বোধ হয় পুরনো কথাটা মনে করিয়ে দেওয়ার দরকার পড়েছে যে, সাফল্যের কোনও শর্ট-কার্ট হয় না। এগুলো বন্ধ হওয়া দরকার। রিভার্স সুইংকে ক্রিকেটের দরকার, বল বিকৃতির অপরাধকে নয়।