শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > শীর্ষ খবর > কঠোর নজরদারিই রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখবে

কঠোর নজরদারিই রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখবে

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারের কঠোর নজরদারি ও পাইকারি বিক্রেতারা যদি সরকার নির্দেশিত মূল্য হেরফের না করেন, তবে খুচরা বাজারেও এই মূল্য বজায় থাকবে বলে জানিয়েছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে খুচরা পর্যায়ে সয়াবিন তেল প্রতিলিটার সর্বোচ্চ ১০৫ থেকে ১০৮ টাকা ও চিনির দাম ধার্য করেছে সাড়ে ৪৫ টাকা।
কিন্তু রাজধানীর পলাশী, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, সূত্রাপুর বাজার ঘুরে চিনি কেজিপ্রতি ৪৬ থেকে ৪৮ টাকায় আর সয়াবিন (খোলা) ১১৬-১২০ টাকা প্রতি লিটার বিক্রি হতে দেখা গেছে। একইসঙ্গে ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে দোকান ভেদে ৬৩৫ থেকে ৬৫০ টাকায়।
আবার মহল্লার মুদি দোকানগুলি এসব পণ্যের মূল্যে নির্দেশনার নূন্যতম তোয়াক্কাই করছে না। ওয়ারীতে এক দোকানির কাছে জানতে চাইলে চিনির দাম হাঁকান ৫২ টাকা কেজি।
আবার রমজানে বেশি ব্যবহার হয় এমন পণ্যের মধ্যে কেজিপ্রতি বেসন একশ’ টাকা, ছোলা দোকান ভেদে ৬৫ থেকে ৭২ টাকা, খেসারি ডাল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। রমজানে রকমারি খাবারে ব্যবহৃত পেঁয়াজ দাম বৃদ্ধির জানান দিয়েছে গত সপ্তাহেই।
গত সপ্তাহের বাড়তি দামেই দেশি ও আমদানি করা উভয় ধরনের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪২-৪৮ টাকায়।
আগুন লেগেছে কাচামরিচের বাজারেও। মোহাম্মদপুর কাচা বাজারে কাচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। সূত্রাপুর বাজারে তা ৮০-১০০ টাকার মধ্যেই আছে। যে বেগুন টমেটো ছাড়া ইফতার জমে না, রমজানে হয়তো তার নাগাল পাওয়া কঠিন হয়ে পড়তে পারে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি টমেটো গত সপ্তাহের ৫৫ থেকে ৬০ টাকার পরিবর্তে ১০০ থেকে ১২০ টাকা আর ৩৫ টাকার বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকায়।
আবার আলু ছাড়া সব ধরনের সবজির দর ঊর্ধ্বগতি। পটল, করলা, বরবটি, ঢেঁড়শ, পেঁপেসহ বেশিরভাগ সবজিতে ৫-১০ টাকা বেড়েছে।
তবে সবজি দোকানি ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘রমজানে সবজি শশা, টমেটো, লেবু আর বেগুনের দাম কিছুটা বাড়ে। এবছরও ব্যতিক্রম হবে বলে মনে হচ্ছে না।’
সূত্রাপুর বাজারের বাবুল স্টোরের মালিক বাবুল হোসেন বলেন, ‘মন্ত্রণালয় বা টিসিবি যে মূল্য নির্ধারণ করে তাতে আমাদের খুচরা ব্যবসায়ীদের কোনো সমস্যা নেই। কারণ পাইকারি বাজারের সাথে মিল রেখেই তারা তা করে।’
আবার মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের নিত্যপণ্য ব্যবসায়ী মো. কবির বলেন, ‘কর্মকর্তারা তাদের নির্ধারিত মূল্যের জন্য সঠিক মনিটরিং করলেই কেবল খুচরা পর্যায়ে পণ্যের দাম ঠিক থাকবে।’
মন্ত্রণালয় ও এফবিসিসিআই সূত্র জানায়, রমজানে যাতে নিত্যপণ্যের বিক্রি ও সরবরাহ মূল্যে কোনো অস্বাভাবিকতা যেন সৃষ্টি না হয়, তা নিশ্চিত করতে এফবিসিসিআই ও সরকারের পক্ষ থেকে মনিটরিং করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।