বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
রাজধানীর শিশু পার্কের রাইডগুলো পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় শিশুদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। কয়েক দশক আগের রাইড দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত পার্কগুলো। আবার বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা পার্কগুলোতে নেই কারো নিয়ন্ত্রণ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নজরদারি বাড়ানো না গেলে এই ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হবে না।
ক’দিন আগে এই নাগরদোলায় চড়েই প্রাণ হারিয়েছে ৪ বছরের এক শিশু। এরপরেও টনক নড়েনি রাজধানীর শ্যামপুরে বিআইডব্লিউটিএর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই ইকোপার্ক কর্তৃপক্ষের। এর আগেও দু’একটি দুর্ঘটনার অভিযোগ আছে এখানে। তবুও চলছে একই রকম। সময় সংবাদের ক্যামেরা দেখেই গায়েব ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্টরা।
আফসানার মামা বলেন, আমার ভাগ্নী মারা গেছে। আর কেউ যেন এমন দুর্ঘটনার শিকার না হন সেজন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।
রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনে এমন শিশু পার্ক রয়েছে আরো ছয়টি। এর অধিকাংশ রাইডগুলোই শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। নেই প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
অভিভাবকরা বলেন, আমরা বাচ্চাদের নিয়ে যখন আসব তখন যেন আমাদের দুর্ঘটনার চিন্তা করতে না হয় সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অধীনে পরিচালিত শিশু মেলার অবস্থাও একই রকম। এখানকার তিনটি রাইডেই ঝুঁকি রয়েছে শিশুদের। আর শাহবাগের শিশু পার্কের তো কথাই নেই। ১৯৭৯ সাল চালু হওয়ার পর একই রাইড দিয়ে চলছে যুগের পর যুগ। ষোলটি রাইডের মধ্যে একটি এখন পুরোপুরি বন্ধ। অন্যগুলো চলছে বছরের পর বছর ধরে। স্বাভাবিক ভাবেই দর্শনার্থীদের মনে প্রশ্ন এভাবে আর কত দিন।
কয়েকজন দর্শনার্থী বলেন, ছোটবেলায় আমরা যেভাবে দেখেছি এখনও রাইডগুলো সেভাবেই রয়েছে। এগুলোর আধুনিকায়ন দরকার।
যদিও কর্তৃপক্ষ শোনাচ্ছেন আশার বাণী।
ডিএসসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল বলেন, শিশুপার্কে যে রাইডগুলো রয়েছে সেগুলোর উন্নত ভার্সন নিয়ে আসা হবে। এখানে নিরাপত্তার কোনো হুমকি নেই।
তবে নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, শিশু পার্কগুলোর উন্নয়নের পাশাপাশি এমন প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মনীতির মধ্যে আনতে না পারলে ঘটতে পারে আরও বড় দুর্ঘটনা।
পাশাপাশি শিশুদের বিনোদনে আরও নতুন নতুন পার্ক নির্মাণেরও তাগিদ দেন তিনি। সূত্র: সময় টিভি