আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সুপরিচিত ব্লগার আব্দুল্লাহ আল-সালেহ মধ্যপ্রাচ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভূমিকার সমালোচনা করায় তাকে আরো ৫ বছর জেল দেওয়া হয়েছে। ব্রিটেনে অবস্থানরত এ কুয়েতি নাগরিকের সাজা বেড়ে দাঁড়াল ৩১ বছর। আব্দুল্লাহ টুইটারে মধ্যপ্রাচ্যে আগ্রাসী ভূমিকার জন্যে আমিরাতকে দোষারোপ করে গত সপ্তাহে সমালোচনা করায় সর্বশেষ আরো ৫ বছর জেল দেওয়া হয়। কুয়েতি পত্রিকা আল-কাবাস বলছে আব্দুল্লাহ ইতিমধ্যে ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয়া প্রার্থনা করে বলেছেন তিনি তার দেশ কুয়েতে ফিরতে চান না।
এর আগেও আব্দুল্লাহ সৌদি আরব ও কাতারের ওপর অবরোধ আরোপের সমালোচনা করায় তাকে ৫ বছরের জেল দেওয়া হয়েছিল। তিনি অনবরত রিয়াদ ও আবু ধাবির শাসকদের কড়া সমালোচনার জন্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সুপরিচিত। সম্প্রতি তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করেন, যদি কুয়েতি দিনারের শক্তি না থাকতে তাহলে বাহরাইনের মত কুয়েতেও সৌদি আরব হস্তক্ষেপ করত।
টুইটারে আব্দুল্লাহর অনুসারী রয়েছে ৯৮ হাজার। এক টুইট বার্তায় আব্দুল্লাহ মন্তব্য করেন, কাতারকে সমর্থন ও সৌদি আরবের সমালোচনা করায় আমাকে ৫ বছর জেল দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমি আমার মন্তব্যের জন্যে কোনো দুঃখ প্রকাশ করব না। সমালোচনা আমার অধিকার। কুয়েতেও ফিরব না তবে শোষিতদের পক্ষে আমি আমার সমর্থন অব্যাহত রাখব।
এদিকে আইসিএফইউএই বলছে, আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে দেওয়া আদালতের রায় মানবাধিকার ও সমাবেশ করার যে মৌলিক অধিকার রয়েছে তার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আমিরাত সহ আরব দেশগুলোতে অনলাইন বিরোধিতা একটি ক্রমবর্ধমান সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছে। অনলাইন সমালোচনার জন্যে গুম, আটক ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে অহরহ। আল আরাবিয়া ইউকে