শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > জাতীয় > যে কারণে ঝুলে থাকলো রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন

যে কারণে ঝুলে থাকলো রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥
২৩ জানুয়ারি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নানা জটিলতায় তা পিঁছিয়ে গেছে। যার কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যে তিনটি পর্যায়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার কথা ছিল তার প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করতে পারলেও দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের কাজ শেষ করা এখনো বাকি রয়েছে। আর এসব কাজ পুরোপুরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব হচ্ছে না।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের চুক্তি অনুযায়ী তিনটি পর্যায়ের কাজের মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে— পদ্ধতিগত বিষয় ঠিক করা, দ্বিতীয়টি হচ্ছে— কাঠামোগত ভৌত ব্যবস্থা তৈরি করা এবং তৃতীয়টি হচ্ছে— শারীরিক বা দৃশ্যমান প্রত্যাবাসন শুরু করা। এর মধ্যে শুধু মাত্র প্রথমটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

এ বিষয়ে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার ও জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্য মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কাজ এগিয়ে নেয়ার প্রথম পর্যায়ের প্রক্রিয়াটি আমরা ভালোভাবে সম্পন্ন করেছি। এখন দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ করছি। এরপর তৃতীয় পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন হলে খুব দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরু করা যাবে।’

তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করতে আমাদের আরও সময় প্রয়োজন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে অনেকগুলো পূর্বশর্ত পূরণের বিষয় আছে। কারণ, আমরা মিয়ানমারকে বলেছি, রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ও স্বেচ্ছায় ফেরত যাওয়ার মতো পরিবেশ তৈরি করতে হবে। রোহিঙ্গাদের জন্য এটি করতে গেলে অনেক কিছু করণীয় আছে। সেগুলো মিয়ানমারে যেমন, তেমনি আমাদেরও প্রয়োজন আছে। সে হিসেবে আমরা আমাদের অংশের কাজ করছি। আশা করি, মিয়ানমার তাদের অংশ করবে।’

আবুল কালাম বলেন, ফেরত পাঠানো রোহিঙ্গাদের তালিকা এখনও প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া যাচাই বাছাই এবং তাদের জন্য নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম, উখিয়ার আঞ্জুমানপাড়া, টেকনাফের নয়াপাড়া, দমদমিয়ায় যে পাঁচটি ট্রানজিট ক্যাম্প করার কথা ছিল, তার কাজও এখনও শেষ হয়নি। তবে প্রক্রিয়া পিছিয়ে গেলেও কবে থেকে তা শুরু হবে সে বিষয়ে কিছুই জানাননি তিনি।

এদিকে, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা প্রত্যাবাসনের পূর্বে মিয়ানমারের নাগরিকত্ব, ক্ষতিপূরণসহ পাঁচটি দাবিতে বিক্ষোভ করার চেষ্টা করছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে চুক্তি সই হয়। চুক্তি অনুযায়ী ২৩ জানুয়ারি থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শেষ করা সম্ভব না হওয়ায় প্রত্যাবাসন শুরু করা যাচ্ছে না।