শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > শীর্ষ খবর > নির্বাচন কমিশন সেনা মোতায়েনের বিরুদ্ধে নয় : সিইসি

নির্বাচন কমিশন সেনা মোতায়েনের বিরুদ্ধে নয় : সিইসি

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, সেনা মোতায়েন বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের একটি বাস্তবতা। এর আগের নির্বাচনের সেনা মোতায়েন হয়েছিল। সুতরাং এবারের নির্বাচনেও সেনা মোতায়েন হবে না, তা বলা যাবে। নির্বাচন কমিশন সেনা মোতায়েনের বিরুদ্ধে নয়।

বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা একথা বলেন।

বিএনপি যদি নির্বাচন আবারও বয়কট করে তাহলে নির্বাচন কমিশন কি করবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধান রাজনৈতিক দল বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচন বয়কট করবে বলে মনে করি না। তবে প্রধান রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচন বয়কট করে, সে ক্ষেত্রে সাংবিধানিক যে প্রক্রিয়া আছে সে অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনার কাজ করবেন। সংবিধানের বাইরে কোনো কিছুই করা যাবে না। সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবেন বলে শতভাগ আশা করছি।

সাধারণ জনগণের প্রার্থী বেছে নেবার যে অধিকার তা কতটুকু থাকবে যদি দলগুলো নির্বাচন বয়কট করে। সেখানে প্রার্থী বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকে না। সে ক্ষেত্রে প্রকৃত নির্বাচন কিভাবে বলা যাবে?

জবাবে নূরুল হুদা বলেন, যারা নির্বাচরে অংশ গ্রহণ করবেন তারাই প্রার্থী হবেন। নির্বাচনে কে বা কোন দল নির্বাচনের প্রার্থী হবেন নাকি হবেন না সে ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কোনো কিছুই করার থাকে না।

বিএনপি মনে করেন, একটি নিরপেক্ষ সরকার না থাকলে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। সেখানে বিএনপিকে আশ্বস্ত করার জন্য নির্বাচন কমিশন কি বলতে পারে?

জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন যে পরিবেশ বা পরিস্থিতিই হোক না কেন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে। গ্রহনযাগ্য নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর। তবে কোন ধরনের সরকার নির্ধারণ হবে এই কাজটি নির্বাচন কমিশন নির্ধারণ করতে পারে না।

দেশের সকল দল যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সে ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনার কি কোনো ধরনের ভূমিকা পালন করতে পারে?

জবাবে তিনি বলেন, যারা সংলাপে অংশ গ্রহণ করেছিলেন তারা আশ্বস্ত হয়েছিলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব। তিনি আরো বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সেখানে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। ৬’শর বেশি স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়েছে, সেখানে নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক হয়নি। সুতরাং নির্বাচন কমিশন যে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারে তা জাতির কাছে প্রমাণিত।

সরকারের প্রভাবমুক্ত থেকে কিভাবে নির্বাচন করবেন?

এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন, নির্বাচন কমিশন সরকারের অধীনে নয়। সুতরাং নির্বাচন কমিশনের যে আইন আছে, সংবিধান অনুসারে সে আইন অনুযায়ী সংবিধানের যে ক্ষমতা দেওয়া আছে, সে ক্ষমতা অনুসারে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে। সেখানে সরকারের কোন সহায়তা বা ক্ষমতার প্রয়োজন হয় না।

বলা হচ্ছে ২০১৮ সাল হবে বাংলাদেশের জন্য নির্বাচনের বছর। চার বছর আগে বিতরকিত একটি নির্বাচনের মাধ্যমে পুনরায় ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। তাদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে। কিন্তু ইতি মধ্যেই শুরু হয়েছে নির্বাচন কালিন সরকার নিয়ে বিতর্ক। বিএনপি বলছে নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে যদি নির্বাচন না হয় তাহলে তারা আবার আন্দোলনে নামবে। বিএনপির এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

আমাদের সময়.কম