শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > আন্তর্জাতিক > সরকারের সমালোচনা ইরানের নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার : রুহানি

সরকারের সমালোচনা ইরানের নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার : রুহানি

শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, তার দেশের নাগরিকদের সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের স্বাধীনতা রয়েছে তবে তা সহিংসতার মাধ্যমে নয়। ইরানে বিক্ষোভকে টুইটারে এক বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহায়তারও সমালোচনা করেন রুহানি। এ ধরনের বিক্ষোভের ৪ দিন পর রোববার দেওয়া বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট রুহানি আরো বলেন, কোনো ধরনের সহিংসতা মেনে নেওয়া হবে না।

রুহানি বলেন, সরকারের সমালোচনা ও প্রতিবাদ জানানো ইরানের নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার। তবে তা সহিংসতায় জড়িয়ে নয়। সমালোচনা সহিংসতা ও জনগণের সম্পদ বিনষ্ট করা থেকে ভিন্ন।প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ইরানের নাগরিকদের সহানুভূতি দেখানোর কোনো অধিকার নেই। তিনি সেই ব্যক্তি যিনি কয়েক মাস আগে ইরানি জাতিকে সন্ত্রাসী বলে অভিহিত করেছেন। সরকারের সমালোচনা ইরানের জাতি গঠনে সহায়ক বলেও রুহানি মন্তব্য করেন। এজন্যে সরকারি কর্মকর্তাদের জনগণের সমালোচনাকে গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন ইরানের প্রেসিডেন্ট।

দারিদ্র, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের অভাবের জন্যে এধরনের বিক্ষোভ গত কয়েকদিন ধরে ইরানের বিভিন্ন স্থানে অব্যাহত রয়েছে। তবে এ বিক্ষোভে পাশাপাশি বাস স্টেশন সহ সরকারি স্থাপনায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।

এদিকে ইরানে সাম্প্রতিক বিক্ষোভে আমরিকা জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমা বিশ্লেষক ও ‘পলিটিক্স ফাস্ট’’ নামের একটি ম্যাগাজিনের সম্পাদক মারকাস পাপাদোপুলোস। অর্থনৈতিক ইস্যুকে কেন্দ্র করে ইরানের কয়েকটি শহরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কয়েকটি বিক্ষোভ-সমাবেশ সম্পর্কে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।

ইরানের প্রেস টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মারকাস বলেছেন, ইরানের ইসলামি বিব্লব সফল হওয়ার পর থেকেই দেশটিকে গোলযোগপূর্ণ দেশে পরিণত করার চেষ্টা করে আসছে আমেরিকা।

তিনি বলেন, ‘আমরা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও অন্য রাজনীতিকদের বক্তব্য শুনছি কিন্তু আমেরিকার মূলধারার সাংবাদিকদেরও বিক্ষোভের প্রতি সমর্থন দিতে দেখছি যা চরম উদ্বেগজনক এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের কারণে অনেক বেশি ধ্বংসাত্মক ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।

মারকাস বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ইরানে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অনেক আন্তরিক ব্যক্তি রয়েছেন যারা তাদের দেশে বিদেশি হস্তক্ষেপ চান না কিন্তু তারা দারিদ্র্রের বিষয়ে কিছু একটা হোক – সেটা চান। তবে, এর মধ্যে এমন কিছু লোক রয়েছে যারা আমেরিকার নির্দেশ পালন করছে।