সোমবার , ১১ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৬শে কার্তিক, ১৪৩১ , ৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > রাজনীতি > খালেদার সাজার ব্যাপারে যা বললেন ওবায়দুল কাদের

খালেদার সাজার ব্যাপারে যা বললেন ওবায়দুল কাদের

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥

আদালতের বিচারে নির্দোষ প্রমাণিত হলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ছাড়া পাবেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়মী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আদালতের বিচারে যদি খালেদা নির্দোষ প্রমাণিত হন তাহলে তিনি ছাড়া পাবেন। আর যদি দোষী হন তবে এখানে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। ছাড়া পেলেও আদালতের ব্যাপার, দোষী হলেও আদালতের ব্যাপার। আদালত ছাড় দিলেও দিতে পারেন, সাজাও দিতে পারেন।

এদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় অসমাপ্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে পঞ্চম দিনের মতো আদালতে উপস্থিত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামানের আদালতে চতুর্থ দিন শেষে পঞ্চম দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করছেন তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। বুধবার চতুর্থ দিনে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় পঞ্চম দিনে গড়ায়।

আজ সকাল ১১টায় খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসভবন থেকে রওনা হয়ে বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটের দিকে ঢাকার বকশীবাজারের বিশেষ আদালতে পৌঁছান তিনি। গত ২০ ও ২১ ডিসেম্বর খালেদার পক্ষে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় যুক্তি উপস্থাপন করেন খালেদার আইনজীবীরা। এর আগে ১৯ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলায় যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন।

২১ ডিসেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন তার আইনজীবী আব্দুর রেজাক খান। ওই দিন তার যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় ২৬, ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর পরবর্তী যুক্তি উপস্থাপনের দিন ধার্য করেন আদালত।

অন্যদিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন খালেদা জিয়া এবং মামলায় কোনো সাফাই সাক্ষী দেবেন না বলেন তিনি। এরপর আদালত মামলাটির যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ২৬, ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরে ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর সাবেক নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

এ ছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় অপর একটি মামলা করে দুদক। ২০১০ সালের ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।