শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > আন্তর্জাতিক > রোহিঙ্গা ইস্যুতে পাশে দাঁড়ানোয় চীনকে ধন্যবাদ জানালেন মিয়ানমার সেনাপ্রধান

রোহিঙ্গা ইস্যুতে পাশে দাঁড়ানোয় চীনকে ধন্যবাদ জানালেন মিয়ানমার সেনাপ্রধান

শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল মিন অং লাইং রাখাইন অঞ্চলে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে চীনের সমর্থনের জন্যে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। গত সপ্তাহে বেইজিং’এ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং’এর সাথে তিনি এক বৈঠকে মিলিত হন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি জানান, রাখাইনে রোহিঙ্গা সংকট ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে অবস্থান নিয়েছে তার বিরুদ্ধে এবং মিয়ানমারের পক্ষে চীন অবস্থান নিয়েছে। এ সংকট নিরসনে চীন কূটনৈতিক উদ্যোগ নিয়েছে এবং তা মিয়ামারকে সমর্থন করেই।

রাখাইনে গত আগস্টে রোহিঙ্গাদের ওপর সেনা অভিযান ও উগ্র বৌদ্ধদের হামলা, হত্যাযজ্ঞ, নির্বিচারে গণধর্ষণ ও তাদের বাড়ি ঘরে লুটপাট এবং অগ্নিসংগোর কারণে অন্তত ৬ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। নাফ নদীতে অনেক রোহিঙ্গা মুসলমানকে হত্যার পর ফেলে দেওয়া হয় যাদের লাশ উদ্ধার করে বাংলাদেশে দাফন করা হয়।

এর আগে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি নিন্দা প্রস্তাব আনার উদ্যোগে চীনের বিরোধিতায় অনেক পশ্চিমা দেশ দেশটির সমালোচনা করে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংএর সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যুটি নিয়ে কথা বলেছেন, যিনি চীনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের চেয়ারম্যান। এ বৈঠকে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী প্রধান আরো জানান, মিয়ানমারের রাখাইনে কিভাবে শান্তি ফিরিয়ে আনা যায় ও দুই দেশের সীমান্তে সশস্ত্র গোষ্ঠীর কার্যকলাপ প্রতিহতের বিষয়টি নিয়েও বিস্তারিত আলাপ হয়েছে।

জেনারেল মিন অং জানান, চীনের প্রেসিডেন্ট মিয়ানমারে শান্তি বজায় রাখার ব্যাপারে অধিক গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন, সীমান্ত বিষয়ক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় দেশটি মিয়ানমারের পাশে আছে। তবে চীনের সরকারি মিডিয়া সিনহুয়া নিউজ এজেন্সি এর আগে জানিয়েছিল প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংএর সঙ্গে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী প্রধানের বৈঠকে কোনো রাখাইনের বিষয়টি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ওই বৈঠকে বলেন, তার দেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে গভীর দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্ব বিনিময়ের সঙ্গে সঙ্গে কৌশলগত যোগাযোগ শক্তিশালী ও একে অপরের উদ্বেগ ও চিন্তাধারাকে গুরুত্ব দিয়ে যাবে। সিনহুয়ার প্রতিবেদনে দুটি দেশের মধ্যে সশস্ত্র বাহিনীর সম্পর্ককে ইতিহাসে সবচেয়ে সেরা অবস্থানে রয়েছে উল্লেখ করে বলা হয়, এধরনের সামরিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং অঙ্গীকার করেন।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী প্রধানের উদ্ধৃতি দিয়ে সিনহুয়া আরো জানায়, মিয়ানমার চীনের এধরনের সহায়তার উচ্ছসিত প্রশংসা ও দেশটির জাতীয় বিনির্মাণ ও বছরের পর বছর সামরিক সহাযোগিতা ও শান্তি রক্ষায় চীনের ভূমিকা স্মরণ করে। গত ২১ নভেম্বর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী প্রধান ৫ দিনের সফরে চীনে যান। ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমার