চীফ রিপোর্টার ॥
গাজীপুর : নতুন শিক্ষাবর্ষ আসছে। শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া চালাচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। সারাদেশের ন্যায় গাজীপুরেও চলছে এ কার্যক্রম। জেলার শহর ও গ্রামাঞ্চলের বিদ্যালয় গুলোতে ‘শিক্ষার্থী সংগ্রহে’ কর্তৃপক্ষ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। সরকার কতৃক বাধ্যতামূলক শিক্ষার সুযোগ গ্রহন না করে অভিভাবকগন তাদের সন্তানদের ভর্তি করাচ্ছেন কোচিং কেন্দ্রিক কিন্ডারগার্টেনে। রাতারাতি গড়ে ওঠা এসব কিন্ডারগার্টেন ব্যবসায় নির্ভর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিনত হচ্ছে।
সরেজমিনে গাজীপুর শহর, চান্দনা চৌরাস্তা, সালনাসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখাযায় এ কিন্ডারগার্টেনগুলো। নেই মাঠ। খেলাধুলার জন্য শিশুদের নেই পর্যাপ্ত সুবিধা। একই ভবনে দুই বিদ্যাপিঠ। এমন চিত্রও চোখে পড়েছে। চটকদার রঙিন লিফলেটে বিলিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আকৃষ্ট করা হচ্ছে। করা হচ্ছে মাইকিং। ভর্তি প্রক্রিয়ার জন্য চলছে তুমুল প্রতিযোগিতা। নজর নেই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিসের। তথ্য নিয়ে জানা গেল এসব কিন্ডারগার্টেনে ইতোমধ্যে বিনামূল্যে বিতরণের সরকারি বই সংগ্রহে চলে গেছে। কোচিং নির্ভর, ব্যয়বহুল অধ্যয়নে ঝুঁকে পড়ছে অধিংকাশ অভিভাবক। বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার নির্যাস থেকে অসচেতন অভিভাবকগন আছেন বহুদূরে। গাজীপুর সদর উপজেলার ডগরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা খুদিস্তা খাতুন জানালেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে যতœসহকারে পাঠদান হয়। মানা হয় কারিকুলাম। প্রত্যেক শিক্ষক অভিজ্ঞ, দক্ষ ও এবং সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাজীপুরের চান্দনা এলাকার হাতেখড়ি বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেন, নতুন বছর সামনে রেখে শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়ার নোংরা প্রতিযোগিতা চলছে। অথচ শিক্ষার মানের দিকে নজর রাখছে না কতক বিদ্যাপিঠ।
সরেজমিন ঘুরে আরো জানা যায়, গাজীপুরের কিন্ডারগার্টেন গুলোতে নিয়োগ করা হয়েছে অদক্ষ্য শিক্ষক। এসএসসি উত্তীর্ণরা শিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন।
গাজীপুর সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হারুন রশীদ জানান, নিয়ম না মানা কিন্ডারগার্টেনগুলোতে প্রাথমিকের বিনামূল্যের বই দেয়া হচ্ছে না। শিক্ষা অফিস এ বিষয়ে কঠোর। প্রাথমিক শিক্ষা যেন ব্যবসা কেন্দ্রিক ও অযথা পরিক্ষা নির্ভর না হয় সেদিকেও নজর রাখছে।