শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > শীর্ষ খবর > রোহিঙ্গা কর্তৃক বাংলাদেশি খুন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়: মনিরুজ্জামান

রোহিঙ্গা কর্তৃক বাংলাদেশি খুন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়: মনিরুজ্জামান

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
নিরাপত্তা বিশ্লেষক এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের প্রেসিডেন্ট এ এন এম মনিরুজ্জামান বলেছেন, রোহিঙ্গা কর্তৃক বাংলাদেশিদের হামলা ও খুনকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলা যাবে না। এসব ঘটনা নিরাপত্তা ঝুঁকির ইঙ্গিত বহন করে। যা রোহিঙ্গাদের প্রবেশের পর আশঙ্কা করা হয়েছিলো।সূত্র- বিবিসি বাংলা।

বিবিসি বাংলার এক সাক্ষাৎকারে মনিরুজ্জামান আরও বলেন, এমন ঘটনা অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ওপর বেশ চাপ সৃষ্টি করে। যে হারে রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে সে তুলনায় তাদের বাসস্থান ও কর্মসংস্থানের যে ব্যবস্থা তাতে তারা এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়তে পারে। এছাড়া স্বাভাবিকভাবে হত্যাকাণ্ড ঘাটতে পারে। এমনকি অভ্যন্তরীণভাবে যারা ক্রাইমের সাথে জড়িত তাদের সাথেও রোহিঙ্গাদের জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

গত দুই মাসে ৬ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে আর আগে থেকে বাংলাদেশে যে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বসবাস করত এজন্য কি ঝুঁকিটা বেড়ে গেছে?

বাংলাদেশে আগে থেকেই বসবাস করা রোহিঙ্গাদের সাথে নতুন করে আসা ৬ লাখ রোহিঙ্গাদের প্রবেশ করায় ঝুঁকির আশঙ্কা বেড়েছে কি না জানতে চাইলে মনিরুজ্জামান বলেন, আগে থেকেই অবস্থান করা ৫ লাখ রোহিঙ্গাদের ত্রাণ সহায়তা একটি ব্যবস্থাপনার মধ্যে ছিলো। কিন্তু বর্তমানে নতুন করে যারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে তাদের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সেটা কিন্তু এখনো সম্ভব হয়নি। এ জন্য আগে যে রোহিঙ্গারা ছিল এবং বর্তমানে যে রোহিঙ্গারা নতুন করে আসছে তাদের ভেতরে আচরণের একটা বড় ধরনের পরিবর্তন লক্ষ করা যাবে।

বাংলাদেশি নিহতের ঘটনার পর আরও কোনো বড় আশঙ্কা রয়েছে বলে আপনার মনে হয়?

এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এভাবে যদি ছোট-খাটো ঘটনা ঘটতে থাকে তাহলে ওই এলাকার জনগণ আছে তাদের সাথে রোহিঙ্গাদের বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটতে পারে।

রোহিঙ্গা শিবিরে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের মাধ্যমে বাঙালিদের থেকে রোহিঙ্গাদের আলাদা করে রাখা যাবে কি না, সে প্রসঙ্গে মনিরুজ্জামান বলেন, রোহিঙ্গাদের সম্পূর্ণভাবে আলাদা করে রাখা সম্ভব হবে না। কিন্তু প্রথমে তাদের ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আর যতদিন তারা বাংলাদেশে আছে ততদিন তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

 

আমাদের সময়.কম