শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > জাতীয় > চলছে ক্যাম্প ও রাস্তা তৈরি, পরিবার পরিকল্পনার আওতায় নেয়া হচ্ছে রোহিঙ্গাদের

চলছে ক্যাম্প ও রাস্তা তৈরি, পরিবার পরিকল্পনার আওতায় নেয়া হচ্ছে রোহিঙ্গাদের

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
মিয়ানমারের সহিংসতার মুখে নতুন করে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বালুখালী ও কুতুপালং ক্যাম্পের পেছনের বর্ধিত অংশে রাখা হবে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত যত রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে এসেছে সেখানে এক জায়গায় তাদের রাখা সম্ভব হবে। এ জন্য বন বিভাগের দ্ইু হাজার একর জমি চিহ্নিত করে ক্যাম্প স্থাপন ও যাতায়াতের জন্য রাস্তা তৈরির কাজ চলছে।

অন্যদিকে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও খাদ্য-চিকিৎসার ব্যবস্থার পাশাপাশি এ জনগোষ্ঠীর পরিবার পরিকল্পনার দিকেও মনোযোগ দিয়েছে সরকার। গত তিন দিন ধরে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গা নারী-পুরুষদের কাছে পরিবার পরিকল্পনার সুফল তুলে ধরা হচ্ছে। একইসঙ্গে বিতরণ করা হচ্ছে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীও। এছাড়া, প্রসবকালীন এবং নবজাতক ও প্রসূতি মায়ের স্বাস্থ্যসেবাকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

তবে বালুখালী ও কুতুপালং ক্যাম্পের পেছনের বর্ধিত অংশে যদি রোহিঙ্গাদের থাকার ব্যবস্থা হয় তবে সে অঞ্চলের বন্যপ্রাণিদের অভয়ারণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, বন বিভাগের যে জায়গায় শরণার্থী ক্যাম্প স্থাপন করা হচ্ছে তাতে বন্য পশুদের অভয়ারণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এছাড়া পাহাড় ধসসহ অন্যান্য বিভিন্ন ঝুঁকিও রয়েছে। এদিকে এরইমধ্যে গত রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতেও বন্য হাতির আক্রমণে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দু’জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, ২৫ আগস্টের পর রোহিঙ্গা শরণার্থী পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়। এরপরই সরকারের নির্দেশে তাদের একজায়গায় রাখার জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়। কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বালুখালী ও কুতুপালং এলাকায় আগে থেকেই রোহিঙ্গা শরণার্থীরা থাকছিল। নতুন করে লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী আসায় তাদের রাখার জন্যে বালুখালী ক্যাম্প ও কুতুপালং ক্যাম্পের পেছনে বনবিভাগের আরও প্রায় ২ হাজার একর জমি চিহ্নিত করা হয়। যেখানে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের রাখার কাজ চলছে।

পাশাপাশি চলছে রোহিঙ্গাদের ডাটাবেজ তৈরি ও বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশনের কাজ। তবে বায়োমেট্রিকের কাজ চলছে খুব ধীরগতিতে। যে প্রক্রিয়ায় কাজ চলছে তাতে রেজিস্ট্রেশনের কাজ শেষ করতে কয়েক বছর সময় লেগে যেতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞরা এই প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল করার পরামর্শ দিচ্ছেন।

তবে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, ‘বর্তমানে দু’টি বুথে বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন চললেও সেটি ২৫টিতে উন্নীত করা হবে। খুব শিগগিরই সবগুলো বুথে একসঙ্গে এই কার্যক্রম চলবে।’ বাংলা ট্রিবিউন অবলম্বনে