বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী বিপজ্জনক এন্টি পার্সোনাল মাইন স্থাপন করছে। সীমান্তে গত দু’দিনে মাইন বিস্ফোরণে আহত হয়ে টেকনাফে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা এমন তথ্য দিয়েছেন।
সাধারণ মানুষের ক্ষতি করতে সীমান্তে যত্রতত্র স্থল মাইন ব্যবহার আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। মাইন বিস্ফোরণে আহতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় রোহিঙ্গাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
গত কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের মিয়ানমার অংশে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। এর মাঝে সোমবার বালুখালী সীমান্তে এক মহিলা এবং পরদিন মঙ্গলবার দু’শিশু আহত হয়ে বাংলাদেশের জিরো পয়েন্টে চলে আসে।
এর মধ্যে মহিলাটির দু’পা উড়ে গেছে। তারা জানায়, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসার সময় পায়ের নিচে চাপা পড়া মাইনের বিস্ফোরণে তারা আহত হয়েছে।
সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তথ্য মতে, যুদ্ধাস্থান ছাড়া জেনেভা কনভেশনের মাধ্যমে এন্টি পার্সোনাল মাইন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
৩৪ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান বলেন, ‘এন্টি পার্সোনাল মাইন নিষিদ্ধ। কিন্তু এটা মাইন কিনা আমরা বলতে পারছি না। আমরা বিস্ফোরণ এর আওয়াজ পেয়েছি। আমরা বুঝতে পেরেছি মিয়ানমারের অভ্যান্তরের কিছু বিস্ফোরিত হয়েছে।
সাধারণ মানুষের ক্ষতি করার জন্য সীমান্তের যত্রতত্র স্থল মাইন স্থাপন আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল ( অব.) আবদুর রশিদ।
তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত মিয়ানমারে আন্তর্জাতিকবাদী পাক্ষিকতা চুক্তি স্বাক্ষরিত না হবে এই রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ফেরত যাবে না। জটিল অবস্থাকে আরো জটিল করে একটা ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে এরকম ভুল পদক্ষেপ মিয়ানমার সরকার আগেও নিয়েছে এখনও নিচ্ছে।’
গত ২৩ আগষ্ট মিয়ানমারে সংঘাত শুরু হলে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশমুখী হয়েছে। প্রতিদিনই বাংলাদেশ সীমান্তে ঘেঁষে রোহিঙ্গাদের বসত বাড়িতে আগুন দেয়ার পাশাপাশি টহল দিচ্ছে মিয়ানমারের হেলিকপ্টার।
সূত্র : সময় টিভি