বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
বাংলাদেশে গুম হওয়া ব্যক্তিরা কোথায় কি অবস্থায় আছেন সে প্রশ্নের জবাব তাদের পরিবারকে দেয়ার বাধ্য বাধকতা সরকারে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনসহ ৩ টি এশিয়া ভিত্তিক এবং একটি বাংলাদেশি মানবাধিকার সংগঠন।
বুধবার আন্তর্জাতিক গুম দিবস পালনের প্রাক্কালে মঙ্গলবার (২৯ আগষ্ট) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনগুলো বলেছে, সরকারের হাত যদি পরিষ্কার থাকে তাহলে তাদের গুম হওয়া নিয়ে তদন্তে শঙ্কিত হওয়া উচিত নয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশে অব্যাহত ভাবে গুম হচ্ছে। তবে সরকার এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। খবর ভিওএ বাংলার।
এক্ষেত্রে গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা অবশ্য অন্য কথা বলছেন বলে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয় তাদের দাবি রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন এজেন্সি এসব গুমের জন্য দায়ী। এ বিষয়ে একটি উদাহরণ বিবৃতিতে তুলে ধরা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের জুলাই পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৮৮ জনকে গুম করার তথ্য মিলেছে যাদের মধ্য থেকে ৫১ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে, বিভিন্ন স্থানে চোখ বাঁধা অবস্থায় জীবিত ফেলে যাওয়া হয়েছে ১৯৩ জনকে এবং বাকি ১৪৪ জন গুমের শিকার মানুষের এখনও কোন খবর নাই।
বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এটা স্বীকার করে নিতে হবে যে, বাংলাদেশের গণতন্ত্রই শুধু গুম ও অন্যান্য ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। এক্ষেত্রে আইনের শাসন অব্যাহত রাখতে অবশ্যই বিচারিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনর্গঠন ও শক্তিশালী করতে হবে, যা এই মুহূর্তে নেই বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।