রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > রাজনীতি > ষোড়শ সংশোধনী : আইনি প্রক্রিয়াতেই লড়ার সিদ্ধান্ত

ষোড়শ সংশোধনী : আইনি প্রক্রিয়াতেই লড়ার সিদ্ধান্ত

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥

ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে আপিল বিভাগের রায় ও পর্যবেক্ষণে সংবিধান পরিপন্থী কোনো বিষয় আছে কি না তা আরও ভালো করে খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের সভাপতিমণ্ডলী ও সম্পাদকমণ্ডলীর নেতাদের সঙ্গে এক যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় উপস্থিত একাধিক নেতা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সভায় উপস্থিত নেতাদের ভাষ্য মতে, ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে আদালতের দেয়া রায়ের চুলচেরা বিশ্লেষণ করে সংবিধান অবমাননার কোনো বিষয় থাকলে, সে বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু ও আইন সম্পাদক অ্যাডভোকট শ ম রেজাউল করিমকে এ বিষয়ে বিশেষ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি আইন পেশার সঙ্গে নিয়োজিত দলীয় নেতাদের রায় নিয়ে আরও পর্যালোচনা করার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ষোড়শ সংশোধনীর আপিলের পর্যালোচনায় ঢালাওভাবে সমালোচনার জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, সংসদ সদস্যদের সমালোচনা করা গেলে অন্যদের সমালোচনা কেন করা যাবে না? আরও নতুন নতুন ষড়যন্ত্র হতে পারে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগ কেউ প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। আমরা সমালোচনা করব গঠনমূলক।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রায় পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় শ ম রেজাউল করিম বলেন, মামলার রায়ের পর আপিল ডিভিশন যদি তা পেন্ডিং করে দেয় তাহলে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন।

বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে কি না সে প্রসঙ্গেও সভায় আলোচনা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসবে এটা ধরেই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। তাছাড়া বিএনপি নির্বাচনে না আসলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না এই ধারণাও পাল্টাতে হবে। বিএনপির একক নির্বাচন বয়কটে কিছু আসবে-যাবে না। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আরও অনেক আছে।

সভায় সভাপতিমণ্ডলীল সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলে। কিন্তু আমাদের আত্মবিশ্বাসী থাকতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা আবার ক্ষমতায় আসব। শেখ হাসিনা এমন কিছু করেন নাই যে আমরা ক্ষমতায় আসতে পারব না।

তিনি বলেন, আমাদের এমন কিছু করা যাবে না বা এমন কোনো কথা বলা যাবে না যাতে দলের নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েন।

দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, আগামী নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনে হবে এই বক্তব্য না রেখে আমাদের বলতে হবে নির্বাচন হবে স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে।

এ সময় সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে তা সংবিধানে বলা আছে। সুতরাং সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে এই অবস্থানই জানাতে হবে।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত প্রকাশ করেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা।