শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > শীর্ষ খবর > অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা, বেহাল সড়কের দায় কার?

অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা, বেহাল সড়কের দায় কার?

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর অনেক সড়ক এ রকম বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। এতে প্রতিদিন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। ছবিটি বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুর মাজার রোড থেকে তোলা থযাযাদিবর্ষা শুরুর আগ থেকেই রাজধানীর অর্ধেকের বেশি রাস্তা ভাঙাচোরা। বেশকিছু সড়কে কিছুদূর পরপর বিশাল আকারের গর্ত। বাস-মিনিবাস কিংবা অটোরিকশাসহ যে কোনো যানবাহনে ২০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় লাগছে, কখনো বা তার চেয়েও বেশি; অহরহই ঘটছে ছোট-বড় নানা দুর্ঘটনা। এর ওপর গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে তলিয়ে থাকায় এসব রাস্তার উপরের অংশের বিটুমিন (পিচ) ও নুড়িপাথর সরে গিয়ে আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

এতে নগরজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠলেও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনসহ কেউই তা জরুরিভাবে মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এমনকি তা সহসাই সংস্কারের কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা সংশ্লিষ্টরা তা-ও জানাতে পারেননি। ডিসিসিসহ একাধিক কর্তৃপক্ষ রাজধানীর সড়ক মেরামত কাজের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ না থাকাসহ নানা বিষয়কে দায়ী করে এ ইস্যুটি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন।

তবে সরেজমিন অনুসন্ধানে এর নেপথ্যের বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। জানা গেছে, মুষ্ঠিমেয় প্রভাবশালী ঠিকাদারের কারসাজিতেই গোটা নগরীর সড়ক মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। তাদের পেছনে ক্ষমতাসীন দলের অদৃশ্য শক্তি থাকায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনও তাদের ঘাটাতে অনীহা দেখাচ্ছে। আবার কারও কারও সঙ্গে প্রভাবশালী ঠিকাদারদের গোপন আঁতাতও রয়েছে। ফলে এক মাসের কাজ এক বছরে শেষ না হলেও এ জন্য কার্যাদেশে উল্লেখিত জরিমানা আদায়ের পরিবর্তে উল্টো নির্ধারিত বরাদ্দ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। যা পরে তারা নিজেরা ভাগাভাগি করে নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতি, উদাসীনতা এবং নজরদারি না থাকার কারণে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের আওতাধীন বিপুলসংখ্যক ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তায় সাময়িক মেরামত কাজে হাত দেয়া হচ্ছে না। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, নগরীর বেশকিছু সড়কের বিশাল সাইজের গর্ত রয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই এতে যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন পড়ে নানা দুর্ঘটনা ঘটছে। অথচ এসব গর্তে সামান্য কয়েক ট্রাক ইটের খোয়া ও বালু ভরাট করলেই যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা সম্ভব। এজন্য প্রয়োজনীয় অর্থ দুই সিটি করপোরেশনেরই রয়েছে।

ঠিকাদারদের কারসাজির অভিযোগ নিয়ে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, তিতাস এবং ওয়াসার শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা সবাই অনেকটা একই সুরে দায়সারা কৌশলী জবাব দিয়েছেন। কেউ কেউ আবার এসব অনিয়ম-দুর্নীতি ও লুটপাটের পক্ষে সাফাই গাওয়ারও চেষ্টা করেছেন। রাস্তাঘাটের বেহাল দশায় নগরজীবনের দুর্বিষহ ভোগান্তিকেও তারা মিডিয়ার বাড়াবাড়ি বলে মন্তব্য করেন।

রাস্তা মেরামতে দীর্ঘসূত্রিতা প্রসঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নূরুল আমীন বলেন, ‘খোঁড়া রাস্তা তাড়াতাড়ি ভরাট করে মেরামত করা হলে তার মান ভালো হয় না। বৃষ্টি হলে রাস্তার ওই অংশ দেবে যায়। এ কারণে কোথাও কোথাও মাটি দাবতে একটু সময় দেয়ায় কাজ শেষ হতে দেরি হচ্ছে।’

যদিও তার এ ধরনের বক্তব্যকে অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের অনেকে অযৌক্তিক, হাস্যকর এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন। তাদের ভাষ্য, খোঁড়া রাস্তা বালু দিয়ে ভরাট করে তা ‘কমপ্যাক্ট’ (ঘনবিন্যস্ত) করার জন্য তাতে পানি ঢেলে ভারী রোলার মেশিন চালানোর জন্য কার্যাদেশে নির্ধারিত অর্থ বরাদ্দ থাকে। এজন্য বৃষ্টির অপেক্ষা করার কোনো কারণ নেই। বালু ভরাট করা রাস্তায় নিয়মমাফিক রোলার মেশিন চালানো হলে তা দেবে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকবে না বলেও দৃঢ়তার সঙ্গে দাবি করেন তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একজন সিনিয়র প্রকৌশলী বলেন, অধিকাংশ সময় ঠিকাদাররা রাস্তা খোঁড়ার পর বালুর পরিবর্তে মাটি দিয়ে তা ভরাট করেন। এ কারণে মাঝে মাঝে বেশকিছু রাস্তা দেবে যায়। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দুর্বল নজরদারি দায়ী বলে মনে করেন এ প্রকৌশলী।

এদিকে রাস্তা মেরামত-সংরক্ষণ ও বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নের জন্য খোঁড়াখুঁড়ির কাজ শিডিউলে উল্লেখিত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করা না হলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের কাছ থেকে বিলম্বিত জরিমানা আদায়ের যে নিয়ম রয়েছে তা কেন আদায় করা হচ্ছে না- তা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কেউ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তবে তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রভাবশালীদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা না হলেও সাধারণ ঠিকাদারদের থোক অর্থ দিতে হচ্ছে। তবে তা নথিপত্রে উল্লেখ না করে প্রকল্প প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট অন্যরা ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন। পরবর্তীতে তারা কাজের বিলম্বের কারণ হিসেবে প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বিভিন্ন ইস্যু নথিতে উল্লেখ করছেন।

এদিকে ঢাকার ঝুঁকিপূর্ণ সড়কের সাময়িক মেরামত কাজ দীর্ঘদিনে না হওয়ার কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা গেছে, এসব অধিকাংশ বিষয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতনদের ‘নলেজে’ নেই। এমনকি এ ব্যাপারে কেউ কোনো ‘অবহিতপত্রও’ দেয়নি। অথচ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন রাস্তার নিয়মিত দেখভালের জন্য নির্ধারিত বিভাগ ও কর্মকর্তা রয়েছে।

রাজধানীর সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মালিবাগ শাখার সামনের রাস্তায় বিশাল আকারের ছয়-সাতটি গর্তের কারণে প্রায়ই সেখানে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটলেও সেখানে কেন সামান্য কয়েক ট্রাক খোয়া-বালু ফেলে সাময়িক সমাধান করা হচ্ছে তা জানতে উত্তর সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগে খোঁজ নেয়া হলে সেখানকার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি তাদের নলেজে নেই বলে দাবি করেন। যদিও সাউথ পয়েন্ট কর্তৃপক্ষ ছাড়াও এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর অভিভাবক এ ব্যাপারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে দফায় দফায় তাগিদ দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।

স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিনের টানা বর্ষণে তলিয়ে থাকা মালিবাগ সাউথ পয়েন্ট স্কুলের সামনের রাস্তাটি থেকে বৃহস্পতিবার পানি সরে যাওয়ার পর যে চিত্র দেখা গেছে তা রীতিমতো আঁততে ওঠার মতো। এ সড়কের কার্পেটিং অংশের বিটুমিন সরে গিয়ে নুড়িপাথর চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতি একশ গজে ২০ থেকে ২৫টি বিশাল আকারের গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। গোটা সড়কের ৫ ফুট জায়গাও গাড়ি চলাচলের উপযোগী নেই।

এদিকে কয়েকদিনের টানা বর্ষণের পর রাজধানীর ব্যস্ত সড়ক যাত্রাবাড়ী মোড় থেকে ডেমরা, চিটাগাং রোড হয়ে শ্যামপুর পর্যন্ত পুরো সড়কজুড়েই ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। মতিঝিল থেকে অভিজাত এলাকা ধানম-িসহ কূটনৈতিক এলাকা গুলশান-বনানীর অলিগলির রাস্তাও ভাঙাচোরা। মৌচাক, শান্তিনগর, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, মিরপুর, মুগদা, মগবাজারের প্রায় সব সড়কেই একই অবস্থা। যাত্রাবাড়ীতে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার নির্মাণকাজ দীর্ঘদিন আগে শেষ হলেও এর নিচের সড়কের অবস্থা যাচ্ছেতাই রয়ে গেছে। জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভার উদ্বোধনের পর মিরপুর এলাকার মানুষ হযরত শাহজালাল (রা.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মাত্র ২০ মিনিটে যেতে পারবে এমনটা ফলাও করে প্রচার করা হলেও বাস্তবতা হলো- এখন কালশী এলাকার সড়কে এত বড় বড় খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে যে, মিরপুর এলাকার মানুষ কালশী এলাকার সড়কের দুর্ভোগ এড়াতে আগের মতোই দীর্ঘ পথ ঘুরে বিমানবন্দরে যাচ্ছে। দক্ষিণখান, উত্তরখান, বাড্ডা, কুড়িল, শেওড়াপাড়া ও মেরাদিয়াসহ ঢাকা মহানগরীর অন্তত দুই ডজন এলাকায় বিপুলসংখ্যক সড়ক দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণভাবে ভাঙাচোরা হলেও তা সাময়িক মেরামতেরও উদ্যোগ নেয়া হয়নি বলে সেখানকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে বিপুলসংখ্যক রাস্তার মেরামত কাজে দীর্ঘসূত্রিতার ভয়াবহ চিত্রও তথ্য অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে। জানা গেছে, উত্তর বাড্ডা, প্রগতি সরণি, শাহজাদপুর ও ভাটারার জলাবদ্ধতা নিরসনে তিন মাসেরও বেশি সময় আগে কাজ শুরু করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রভাবশালী এক ঠিকাদার। খোঁড়াখুঁড়ির কারণে গুরুত্বপূর্ণ এসব সড়ক দীর্ঘদিন ধরে অনেকটা অচল হয়ে পড়েছে। বাস-মিনিবাস, অটোরিকশাসহ সব ধরনের যানবাহন ধীরগতিতে হেলেদুলে এসব রাস্তা পাড়ি দিতে হচ্ছে। বড় গর্তে পড়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। অথচ এ কাজ চলছে অনেকটাই ঢিমেতালে। এ নিয়ে ঠিকাদারের যেমন মাথাব্যথা নেই; উত্তর সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষও তেমনি গা ছাড়া।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের যাত্রাবাড়ী শহীদ ফারুক সড়কের উন্নয়নকাজ চলছে প্রায় ছয় মাস ধরে। কাজের সুবিধার্থে ঠিকাদার সড়কের একপাশ খুঁড়ে বিশাল গর্ত করে রেখেছেন। অথচ কার্যাদেশ অনুযায়ী অনেক আগেই এ কাজের নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেছে। একই অবস্থা চলছে নারিন্দার শাহসাহেব লেনে। কয়েক মাস আগে ঠিকাদার এখানে বড় বড় গর্ত করে ড্রেনেজ পাইপলাইন স্থাপন করেছেন। এরপর সেখানে ম্যানহোল তৈরি করা হয়েছে। তবে দীর্ঘদিনেও সড়কটিকে চলাচলের উপযোগী করা হয়নি। এতে সেখানকার বাসিন্দাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় নানা দুর্ঘটনা। আরকে মিশন রোডে সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের কাছে জজ গলিতে মেরামত কাজ শুরু হয় প্রায় চার মাস আগে। তবে দীর্ঘদিনেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সে কাজ শেষ করতে পারেনি। বকশীবাজার প্রধান সড়ক মেরামতের নামে মাসের পর মাস সময়ক্ষেপণ করা হয়।

শুধু এই গুটিকতক সড়কই নয়, দুই সিটি করপোরেশনের অধীন চার শতাধিক রাস্তার কাজ চলছে। এগুলোর বেশিরভাগেরই বেহাল দশা। সংশ্লিষ্টরা জানান, বিভিন্ন নামে নেয়া হলেও কাজগুলো কয়েকজন ঠিকাদারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কর্তৃপক্ষ যেহেতু প্রায় একই সময়ে কার্যাদেশ দিয়ে কাজ সম্পন্ন করার সময় বেঁধে দিয়েছে সেহেতু ঠিকাদার যথাসময়ে কাজ শুরু করলেও নির্ধারিত সময়ে তা শেষ করতে পারছেন না।

এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৭ নাম্বার ওয়ার্ডের আওতাধীন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের রাস্তার অবস্থাও ভয়াবহ। টানা বর্ষণে তলিয়ে থাকা এ সড়ক থেকে বৃহস্পতিবার পানি সরে যাওয়ার পর দেখা গেছে, সেখানে বিটুনিমের কোনো চিহ্নই নেই। গোটা রাস্তাটিই চষা জমির মতো এবড়ো-থেবড়ো। কিছুদূর পরপর বিশাল আকারের বিপুলসংখ্যক গর্ত তৈরি হয়েছে। এসব খানাখন্দে পড়ে কিছু সময় পরপর ছোট ছোট যান উল্টে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী আজিজুর রহমান জানান, তারা বেশ কয়েকবার মৌখিকভাবে উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সৈয়দ আনোয়ারুল ইসলামকে সড়কটি সংস্কার করার জন্য অনুরোধ করেছেন। গত মাসে তারা লিখিতভাবে বিষয়টি তাকে জানিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

তবে উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৫ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফ হোসেনের দাবি বিষয়টি তারা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন। এ সড়কটি মেগা প্রজেক্টের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একনেকে অনুমোদন হলে কাজ হবে। কিছুদিনের মধ্যে ইট-খোয়া ও বালু ফেলে সাময়িকভাবে এটি যান চলাচলের উপযোগী করে দেয়া হবে। তবে কবে নাগাদ সংস্কারকাজ সম্পন্ন করা হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানাতে পারেননি এ প্রকৌশলী। যায়যায়দিন