সোমবার , ১১ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৬শে কার্তিক, ১৪৩১ , ৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > রাজনীতি > পাকিস্তানি জামায়াতে ইসলামী পশ্চিমবঙ্গে অস্থিরতা তৈরি করছে

পাকিস্তানি জামায়াতে ইসলামী পশ্চিমবঙ্গে অস্থিরতা তৈরি করছে

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ আবুল আলা মওদুদীর ছেলে সৈয়দ হায়দার ফারুক মওদুদী বলেন বাংলাদেশ এবং অন্যান্য জায়গায় যে সব জামায়াতে ইসলামী সংগঠন আছে এই গুলো হচ্ছে পাকিস্তানি জামায়াতে ইসলামীর শাখা। জামায়াতের মূল অফিস হচ্ছে পাকিস্তানে যেটা মওদুদী প্রতিষ্ঠা করেছে।

বৃহস্পতিবার রাতে ডিবিসি নিউজের রাজকাহন অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমান ও সিনিয়র সাংবাদিক কাজী সিরাজ।

শাহরিয়ার কবির আরো বলেন, এখন মুল বিষয় হচ্ছে মৌলবাদ। যারা ধর্মের নাম ব্যবহার করে রাজনীতি ও বিভিন্ন ধর্ম বিশ্বাসীদেরকে হত্যা করে। আর এটাই হচ্ছে জামায়াতের মুল বিষয়। এখন পশ্চিমবঙ্গে তাদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ কেন ঘাটি করছে। যখনই শেখ হাসিনার সরকার জামায়াতের বিরুদ্ধে বিচার শুরু করে এবং বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উপরে যে অভিযান সরকার করেছে মৌলবাদী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আর বাংলাদেশের সন্ত্রাসীদের গর্ডফাদার জামায়াতে ইসলামী। সেই কারণে তাদের ঘাটি হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের জায়গাটিকে তাদের নিরাপদ স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে কারণ তারা ছাত্র শিবির থেকে গিয়ে ভারতে জঙ্গিগোষ্ঠী তৈরি করেছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বশিরহাট এলাকায় বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এতে করে বাংলাদেশের সাথে মমতার সম্পর্ক আরো খারাপ হতে শুরু করেছে। কিন্তু এর আগেও বাংলাদেশের সরকারের সাথে মমতার একটি ভালো সম্পর্ক ছিলো। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার স্থলসীমান্ত চুক্তির বিলটি ভারতের সংসদে পাস হয়ে গেছে। যদিও মোদি সরকার যখন প্রথমবার বিলটি পেশ করে তখন মমতার দলের সাতজন সাংসদে এর বিরোধিতা করেছিলেন। এখন যদি ভারতের সাথে তিস্তা চুক্তির বিষয়টি নির্বাচনের আগে পরিস্কার না হয় তাহলে মমতার আর হাসিনার সম্পর্ক ভালো রাখার জন্য ভারত তাদের ভূমিকা পালন করবে।

তিনি আরো বলেন, রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সেই ধর্ম পুঁজি করেই জামায়াত-শিবির বাংলাদেশবিরোধী রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে। এই যুদ্ধাপরাধী সংগঠনের নতুন আমিরের বিবৃতি পড়ে বোঝা যায়, নির্বাচন সামনে রেখেই তারা তাদের দল গোছানোর নানাবিধ কার্মকা- পরিচালনা করছে। ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে নতুন ভোটারের সংখ্যাটি গুরুত্বপূর্ণ। আগামী নির্বাচনে যারা প্রথমবারের মতো ভোট দেবে, তাদের কাছে সত্য প্রকাশ করে জামায়াত-শিবিরের নতুন ভ-ামি পরিষ্কার করার উদ্যোগ নিতে হবে। তা না হলে সেদিন আর বেশি দূরে নয়, যেদিন ‘এই কাদের মোল্লা সেই কাদের মোল্লা নয়’এর মতো জামায়াত-শিবির বলতে শুরু করবে, ‘এই জামায়াত সেই জামায়াত নয়।’ আমাদের সময়.কম