শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > তামিমকে নিয়ে ব্রাদার্সের নতুন যাত্রা

তামিমকে নিয়ে ব্রাদার্সের নতুন যাত্রা

শেয়ার করুন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত মওসুমে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে গতবার কোন রকমে রেলিগেশন থেকে বাঁচে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। কিন্তু এবার সেই স্মৃতি ভুলে নতুনভাবেই যাত্রা শুরু করতে চাইছে গোপীবাগের ৬৪ বছরের পুরানো এ ক্লাবটি। গতকালই ক্লাবকে লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরিত করে নতুনভাবে পথচলার ঘোষণা দিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে। সেই সঙ্গে তাদের এ নতুন পথের সঙ্গী হয়েছেন জাতীয় দলের সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের নতুন দলবদলের পদ্ধতি ‘প্লেয়ার বাই চয়েজ’- তামিমকে যুক্ত করেছে ব্রাদার্সের ভাগ্যের সঙ্গে। আর দলটির ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান আ জ ম নাসির উদ্দিন অধিনায়ক হিসেবেই তামিমের হাতে জার্সি তুলে দিয়েছেন। দলবদলে স্বাধীনতা থাকলে গাজী ট্যাংকে খেলার আশা ছিল তামিমের। তবুও তামিম ব্রাদার্সের সঙ্গে তার সম্পর্কটা অনেক পুরানো মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘হয়তো অনেকেই জানেন না আমি যখন খেলা শুরু করি আমার প্রথম ক্লাব ছিল এ ব্রাদার্স। এ দলে আমার বড় ভাই খেলেন। দলটির সঙ্গে আমার অবেগের একটি সম্পর্ক আছে। তাই এ ক্লাবের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কোন সমস্যা হবে না।’ আর তামিমকে পাশে পেয়ে ব্রাদার্সও ঘুরে দাঁড়াতে চায় তার পুরানো ঐতিহ্য ফেরাতে।
গতকাল এক অনুষ্ঠানে লীগে ২০১২-১৩ মওসুমের ক্রিকেট দলকে পরিচয় করিয়ে দেয় ব্রাদার্স ইউনিয় লি.। ব্রাদার্সে খেলা নিয়ে তামিম ইকবালের কোন আপত্তি না থকালেও আপত্তি আছে নতুন দলবদল পদ্ধতি নিয়ে। গতকালও তার সেই অপত্তির কথা বলতে দ্বিধা করলেন না। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করিছি বোর্ডের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী লটারি পদ্ধতির দলবদল এবারই শেষ। কারণ, এই পদ্ধতিটা কোনভাবেই ক্রিকেটারদের জন্য ভাল নয়। এটা চলতে থাকলে ক্রিকেটারদের জন্য ভাল হবে না।’ তবে এ পদ্ধতি না থাকলে আর স্বাধীনভাবে দলবদল করতে পারলে তামিম যে ব্রাদার্সে খেলতেন না তাও জানাতে দ্বিধা করেননি তামিম ইকবাল। তিনি বলেন, ‘দলবদলে স্বাধীনতা থাকলে আমার প্রথম পছন্দ ছিল গাজী ট্যাংক আর দ্বিতীয় কিছু বেছে নিতে হলে ব্রাদার্স ইউনিয়ন।’ গত মওসুমে তামিম ইকবাল খেলেছিল ভিক্টোরিয়া ক্লাবে। তার ক্লাব গতবার চ্যাম্পিয়নও হয়। ভিক্টোরিয়া ক্লাবের গত আসরের ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বাদল এবার গাজী ট্যাংকের নয়া চেয়ারম্যান। আর লুৎফর রহমান বাদলের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণেই তামিমের ইচ্ছা ছিল গাজী ট্যাংকে খেলার।
গত আসরে তার দল ভিক্টোরিয়া চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবার রেলিগেশন বাঁচানো দল ব্রাদার্স নিয়ে তার কি লক্ষ্য? আর কেমন দল হয়েছে ব্রাদার্স! তামিম বলেন, ‘আসলে আমাকে দলে নেয়ার পর সব কিছুই আমার উপর ছেড়ে দিয়েছে ব্রাদার্স। আমাকে দেয়া হয়েছে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা। তবে চ্যাম্পিয়ন হতেই হবে এমন কোন চাপ দেয়নি তারা আমার উপর। সত্যি কথা বলতে কি চ্যাম্পিয়ন হতে ভাগ্য লাগে। আর আমাদের দেশী-বিদেশী ক্রিকেটার নিয়ে আমরা যে দল গড়তে পেরেছি, তা বেশ ভাল হয়েছে। আশা করি ম্যাচ বাই ম্যাচ পারফরমেন্স দিয়ে এগিয়ে যাবো। আর চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে সেটা অন্য বিষয়।’ তামিম ইকবালের এ কথার সমর্থন জানিয়ে আ জ ম নাছির বলেন, ‘আমরা যে দলটি গড়েছি তাদের উপর চ্যাম্পিয়ন হতে হবে এমন কোন চাপ দিচ্ছি না। তারা যদি জয় পায় আমরা অনন্দিত হবে আর খেলায় হার জিত থাকে হেরে গেলেও তা হাসি মুখে বরণ করবো।’ এছড়াও তামিম ইকবালের সঙ্গে দলটির সহ-অধিনায়ক হিসেবে থাকবেন জাতীয় দলের স্পিনার সোহরাওয়ার্দী শুভ।
ওদিকে ক্রিকেটার পরিচিতি অনুষ্ঠানেই লি কোম্পানি হিসেবে ব্রাদার্সের যাত্রার ঘোষণা দেন ক্লাবটির সভাপতি বিশ্বাস গ্রুপের কর্ণধার নজরুল ইসলাম। তিনি ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ক্লাবটির নতুন যাত্রা নিয়ে বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি ক্লাবটিকে আরও সংগঠিত করার। আশা করি এ ক্লাবটি তার ঐতিহ্য নিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়াবে।’