স্পোর্টস ডেস্ক ॥
এমন দিনেও কেউ হাসতে পারে? কিন্তু মেহেদী হাসান মিরাজের মুখে তো এক চিলতে হাসি সবসময়ই লেগে থাকে! দলের মহাবিপর্যয়ের দিনটিতেও হাসার পথ বের করে ফেলেছেন তরুণ অলরাউন্ডার। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হলেন হাসিমুখে; হাসালেন সবাইকে।
ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের যা একটু ইতিবাচক দিক, সেটির একটি এই মিরাজের পারফরম্যান্স। ভারতীয় ব্যটসম্যানদের রান মহড়াতেও বেশ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন। ব্যাটিংয়ে মহাবিপর্যয়ে লড়েছেন খানিকটা সময়।
তবে নিজেকে নিয়ে নয়, মিরাজ হাসার উপলক্ষ খুঁজে নিয়েছেন নিজস্ব দর্শনে। তাকে নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনেক আশা, অনেক স্বপ্ন তার পরিণত বোধের কারণে। চিন্তা ভাবনা, কথায় অনেক ইতিবাচক বরাবরই।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি যাতে দু:স্বপ্ন হয়ে তাড়া করতে না পরে, সেটির উপায় বের করেছে ফেলেছেন মিরাজ। এই ম্যাচ থেকেও বের করেছেন মন্দের ভালো।
‘আজকে দিনটি আমাদের ছিল না। তবে আমি ইতিবাচকভাবে নিলে বলতে পারি, যা যাওয়ার, প্র্র্যাকটিস ম্যাচের ওপর দিয়েই গেছে। আল্লাহ যা করেন, ভালোর জন্যই করেন। সামনে আসল খেলা, বড় ম্যাচ। আশা করি, খারাপ সময়টা প্রস্তুতি ম্যাচের ওপর দিয়েই গেছে।’
কিন্তু তিনি যা বললেন, ড্রেসিং রুমের অন্দরমহলেও কি একইরকম ভাবনা? তার ভাবনা কি প্রতিফলিত হচ্ছে দলের মানসিকতায়ও? প্রশ্ন শুনে মিরাজের কণ্ঠে আরও বেশি আত্মবিশ্বাসের ছোঁয়া।
‘আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে। আশা করি, আমরা ঘুরে দাঁড়াবো অবশ্যই। ড্রেসিং রুম একদম ঠিক আছে। সবাই জানে, একটা ম্যাচে এরকম হতেই পারে। মূল ম্যাচে এরকম হবে না। সবাই আত্মবিশ্বাসী।’
মিরাজের কণ্ঠ মনের কথাই বলছে কিনা, ড্রেসিং রুমের হৃদস্পন্দনও একই তালে চলছে কিনা, সেটির প্রমাণ হবে একদিন পরই। বৃহস্পতিবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচেই ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।