শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > জাতীয় > সৌদি আরবে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা

সৌদি আরবে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গিদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট স্থানীয় সময় শনিবার রাত ১১টা ১৫ মিনিটে বাদশাহ খালিদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে।

সৌদি আরবের শূরা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ ফয়সাল বিন আবু সা’দ ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। পরে মোটর শোভযাত্রা সহকারে প্রধানমন্ত্রীকে রিয়াদের মোভেনপিক হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সফরকালে ওই হোটেলেই থাকবেন তিনি।

সৌদি বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদের আমন্ত্রণে আরব ইসলামিক আমেরিকান (এআইএ) সম্মেলনে যোগ দিতে চারদিনের সরকারি সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে শনিবার রাত ৮টা ১০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ত্যাগ করে।

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম তাকে বিমান বন্দরে বিদায় জানান।

সফরকালে শেখ হাসিনা মক্কায় হারাম শরিফে পবিত্র ওমরা পালন করবেন এবং মদিনায় হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারত করবেন।

আরব ইসলামিক-আমেরিকান (এআইএ) সম্মেলন রোববার সৌদি রাজধানীতে বাদশাহ আবদুল আজিজ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বের অন্য নেতাদের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও সম্মেলনে যোগ দেবেন।

তিনি ‘গ্লোবাল সেন্টার ফর কমব্যাটিং এক্সট্রিমিস্ট থট’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

শেখ হাসিনা ২২ মে সৌদি বাদশার আমন্ত্রণে ভোজসভায় যোগ দেবেন।

প্রধানমন্ত্রী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারত পবিত্র ওমরা পালন করবেন। সফর শেষে ২৪ মে দেশে ফিরবেন তিনি।

‘জয় আমাদেরই হবে’ এই শ্লোগান নিয়ে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলাও জঙ্গিদের অর্থায়ন খুঁজে বের করার বিষয়ে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ৫৬ আরব ও মুসলিম দেশের নেতারা এই সম্মেলনে যোগ দেবেন।

শেখ হাসিনা সম্মেলনে অনেকগুলো প্রস্তাব উত্থাপন করবেন। সম্মেলনের মূল বিষয় বৈশ্বিক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় নতুন অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা, সহনশীলতা এবং সহাবস্থানের মূল্যবোধের প্রসার এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতের উদ্যোগ জোরদার করা।