স্টাফ রিপোর্টার ॥
বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধের জন্ম দিন আজ। এই দিনেই মহামতি বুদ্ধ সিদ্ধিলাভ আর মহাপরিনির্বাণ লাভ করেছিলেন। দিনটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা ‘বুদ্ধ পূর্ণিমা’ হিসেবে পবিত্রতম উৎসব পালন করেন। বৈশাখের পূর্ণিমা তিথির এই দিনে বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীরা স্নান করেন, শুচিবস্ত্র পরিধান করে মন্দিরে বুদ্ধের বন্দনায় রত থাকেন। পূর্ণিমার চাঁদের আলোয় বোধি বৃক্ষতলে জগত আলোকিত করে মানবমুক্তির পথ বের করেন মহামতি গৌতম। জীবনের শেষ অধ্যায়ে তিনি রাজগৃহ থেকে কুশীনগর গমন করেন। কুশীনগরের কাছে পাবা নগরে উপস্থিত হয়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।
তখন আকাশে বৈশাখী পূর্ণিমার চাঁদ উঠেছে। আলোয় চারদিক উদ্ভাসিত। অনন্ত আকাশের তলে যুগ্ম শালবৃক্ষের নিচে সমবেত শিষ্যগণ। তিনি উচ্চারণ করেন মহাবাণী, উত্পন্ন দ্রব্য মাত্রেরই বিনাশ অবশ্যম্ভাবী, অপ্রমত্ত হয়ে কর্তব্য সম্পাদন কর। বৈশাখী পূর্ণিমাতেই ৮০ বছর বয়সে বুদ্ধ লাভ করেন মহাপরিনির্বাণ। বুদ্ধের মূলমন্ত্র ‘সব্বে সত্তা সুখিতা ভবন্তু/জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক’। বুদ্ধ বলেছেন, জগতে কর্মই সব। মানুষ তার কর্ম অনুসারে ফল ভোগ করবে। ভাল কাজ করলে ভাল ফল এবং খারাপ কাজের জন্য খারাপ ফল পাবে। কর্মানুসারে মানুষ অল্প আয়ু, দীর্ঘ আয়ু, জটিল ব্যাধিগ্রস্ত, নীরোগ, বিশ্রী সুশ্রী, সুখী-দুঃখী, উঁচু-নিচু, জ্ঞান-মূর্খতা ইত্যাদি প্রাপ্ত হয়। মানুষ কর্মের অধীন।
সারাবিশ্বের বুদ্ধ অনুসারী ভক্তরা আজ বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভক্তিতে পালন করবে দিনটি। বাংলাদেশের বৌদ্ধ সমপ্রদায় যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যে উদযাপন করবে পবিত্র দিবসটি। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এ উপলক্ষে দেশের বৌদ্ধ সমপ্রদায়কে শুভেচ্ছা জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন। আজ সরকারি ছুটি।