শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > আন্তর্জাতিক > কাশ্মীরে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিষেধাজ্ঞা

কাশ্মীরে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিষেধাজ্ঞা

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
উপত্যকায় অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করল মুফতি সরকার। সরকারি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, হোয়াটস অ্যাপ, ফেসবুক, স্ন্যাপ চ্যাট, টুইটার–সহ যাবতীয় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে পারবেন না কাশ্মীরের বাসিন্দারা। প্রশাসনের দাবি, এই সোশ্যাল মিডিয়া মারফতই অস্থিরতা তৈরি করা হচ্ছে উপত্যকায়। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধেও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এমনকী সেনার বিরুদ্ধাচারণের উস্কানিতে সোশ্যাল মিডিয়ার হাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সে কারণেই এই নয়া নির্দেশিকা।

গত একমাস ধরেই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রয়েছে কাশ্মীরে। সেক্ষেত্রেও এই একই কারণ বলা হয়েছে। সরকারি নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়েছে, পরবর্তী সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে।

গত কয়েক মাস ধরেই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় প্রতিরোধ গড়ে তুলছে উপত্যকার বাসিন্দারা। জঙ্গি দমনের অভিযানে গিয়ে ছাত্র–যুবদের প্রতিরোধের সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাঁদের। একাধিক জায়গায় সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার ঘটনা বাড়ছে। কয়েকদিন আগেই শ্রীনগরের উপনির্বাচনে ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয় সেনাবাহিনীকে। প্রকাশ্য রাস্তায় সেনা জওয়ানদের মারধর করতে দেখা গিয়েছে উপত্যকার যুবকদের। এই আক্রোশের নেপথ্যে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া সেনাবাহিনীর একাধিক ভিডিও। সেগুলির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও, তার উস্কানিতে অস্থিরতার পারদ চড়েছে কাশ্মীরে।

কয়েকদিন আগেই বারামুল্লার জেলে অভিযান চালিয়ে পুলিস একাধিক মোবাইল উদ্ধার করেছে। সেখানে কারাগারে বন্দী চরমপন্থী নেতাদের মোবাইলে একাধিক পাকিস্তানি নম্বর পাওয়া গিয়েছে। এ রকম একাধিক প্রমাণ মেলার পরেই কাশ্মীর সরকার সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সূত্রের খবর।

সূত্র : ডেইলি পাকিস্তান