শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > শীর্ষ খবর > স্কুলে জঙ্গিবাদবিরোধী কাউন্সিলিংয়ের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার

স্কুলে জঙ্গিবাদবিরোধী কাউন্সিলিংয়ের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥

ঢাকা: কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে কাউন্সিলিং করতে সরকারের উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্কুল পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কাউন্সিলিং করানো প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিস্কুলে মনোবিজ্ঞানী বা কাউন্সিলর দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে। এটি একটি ভালো প্রস্তাব। কাজেই সব স্কুলে কাউন্সিলর দেওয়া না গেলেও আমরা সবাইকে প্রশিক্ষণ দিয়ে এ ধরনের উদ্যোগ নিতে পারি।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সে ময়মনসিংহ বিভাগের সঙ্গে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবিরোধী ও উন্নয়ন বিষয়ে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কাউন্সিলিংয়ের জন্য আমরা হয়তো কিছু মানুষকে ট্রেনিং দিতে পারি। আমরা উদ্যোগ নেবো, শিক্ষক এবং অভিভাবকদেরও এ বিষয়ে প্রশিক্ষণের বিষয়ে। যাতে কেউ বিপথে গেলে তাদেরকে যেন সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা যায়।

কাউন্সিলিংয়ের একটা উদ্যোগ এরইমধ্যে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, একটা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আপনারা জানেন- সূচনা ফাউন্ডেশন নামে আমি একটি ফাউন্ডেশনও করেছি এবং যারা এ ধরনের বিপথে যাচ্ছে বা অটিস্টিক বা প্রতিবন্ধী, তাদেরকে কিছু কাউন্সিলিং দেওয়া হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন উপসর্গ দেখা দিয়েছে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস। যে করেই হোক এ জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসের হাত থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে হবে। এটা কখনো ইসলামের পথ না।

তিনি বলেন, কিছু লোকের অপকর্মের জন্য শান্তির ধর্ম, মানবতার ধর্ম, ভাতৃত্বের ধর্ম ইসলামের বদনাম হচ্ছে। আন্তর্জাতিকভাবে ধর্মটাকে হেয় করা হচ্ছে।

ছেলেমেয়েরা কি করে, কার সঙ্গে মেশে খোঁজ রাখার আহ্বান জানিয়ে বাবা-মা, অভিভাবক, শিক্ষক, ইমাম, সমাজের বিশিষ্টজনদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, যে করেই হোক এর হাত থেকে আপনাদের ছেলে-পেলেদের মুক্ত রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদকাশক্তি এগুলো পরিবারকে ধ্বংস করে, সমাজকে ধ্বংস করে, সবার জন্য একটা কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

তিনি বলেন, মাদকাসক্ত সন্তান থাকে তাহলে সেই পরিবারে দুঃখের সীমা থাকে না। কোনো পরিবারের কোনো সন্তান যদি সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায় সে পরিবারের জন্য তা সব থেকে দুঃখজনক হয়ে যায়। কাজেই ছেলে-পেলেদের এটা বোঝাতে হবে এবং সেভাবেই তাদের মানুষ করতে হবে।

ভিডিও কনফারেন্সে গণভবন প্রান্তে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী ভিডিও কনফারেন্স সঞ্চালনা করেন।

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী এ ভিডিও কনফারেন্স ময়মনসিংহ বিভাগের ৪ হাজার ১৯টি পয়েন্টে সম্প্রচারের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন স্থানে এ বিভাগের ২৮ লাখ মানুষ ভিডিও কনফারেন্সে সম্পৃক্ত ছিলো বলে ধারণা করছেন আয়োজকরা।