বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
দেশে প্রায় দেড় কোটি শিক্ষার্থীকে জিম্মি করে বছরে অন্তত ৭শ’ কোটি টাকার কমিশন বাণিজ্য করছেন কিন্ডারগার্টেন মালিকেরা। এক শ্রেণির প্রকাশকদের সঙ্গে যোগ-সাজসে দামের ওপর ৭৫ শতাংশ কমিশন নিচ্ছেন তারা। আর এসব বই কিনতে হচ্ছে স্কুল থেকেই। সরকার নির্ধারিত পাঠ্যসূচির বাইরের এসব বই পড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বন্ধে তৎপর নয় অধিদপ্তর।
মিরপুরের চেতনা মডেল একাডেমির প্রথম শ্রেণির ছাত্র ইব্রাহিম। বর্ণমালার বাঁক পেরুনোর আগেই তার বইয়ের সংখ্যা ১১।
তিন হাজার টাকায় বইগুলো কিনতে হয়েছে স্কুল থেকেই।
অথচ কোমলমতি এই শিশুদের জন্য সরকার নির্ধারিত বই তিনটি। তবে কেনো ইব্রাহিমের মতো দেশের দেড় কোটি কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীর কাঁধে বাড়তি বইয়ের বোঝা জানা গেলো শিক্ষকের ভাষ্যেই।
রাজধানীর বাংলাবাজারে গিয়ে দেখা গেলো এসব বইয়ে ৭৫ শতাংশ কমিশন দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। আর সব বই স্কুল থেকে কেনার বাধ্যবাধকতা তৈরি করে কমিশনের এই পুরো টাকাটাই হাতিয়ে নিচ্ছেন স্কুল মালিকেরা।
এদিকে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক সমিতি বলছে, স্কুল মালিকরা নিজেদের খেয়াল খুশিমতো শিশুদের ওপর বাড়তি বই চাপিয়ে বছরে বাণিজ্য করছে অন্তত ৭শ’ কোটি টাকা।
প্রয়োজন না থাকলেও শুধু বাণিজ্যিক উদ্দ্যেশেই এসব বই পড়ানোর কথা স্বীকার করছে অধিদপ্তরও।
মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড.আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘সরকারের নির্ধারিত কারিকুলামের বাইরে কোন বই পড়ানোর সুযোগ কারো নাই। যদি সহপাঠ্যক্রম হিসাবে পড়ানো হয় সেক্ষত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে’।
তবে তদারকি না থাকায় নীতিমালা বা নির্দেশনা কাজে আসছে না কিছুই।
ইনডিপেনডেন্ট টিভি