শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > কোচিং বাণিজ্য বন্ধে আইন আসছে

কোচিং বাণিজ্য বন্ধে আইন আসছে

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥

ঢাকা: আইন করে শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য এবং গাইডবই-নোটবই বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর টিচার্স ট্রেনিং কলেজ মিলনায়তনে অবসরপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষক-কর্মচারীদের কল্যাণ ও অবসর সুবিধার চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষকরা আমাদের মাথার মণি। কিন্তু অনেকেই ক্লাসে পড়ান না, কোচিংয়ে পড়ান। এগুলো আর চলবে না। আইন করে কোচিং বাণিজ্য এবং নোটবই-গাইডবই বন্ধ করা হবে’।

‘বাচ্চাদের রেজাল্ট হলেই কিছু বুদ্ধিজীবী টিভি টকশো’তে গিয়ে বলেন, শিক্ষার মান নাকি কমে গেছে। এতে করে বাচ্চাদের মনোবল কমছে। যাদের ছেলে-মেয়েরা দেশের বাইরে পড়ালেখা করে, তারা জেএসি,  পিএসসি পরীক্ষার বিরুদ্ধে কথা বলেন’।

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে শিক্ষক ও অভিভাবকদের সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘১৯৭১ সালের এ মাসেই আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আমাদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস এই মুক্তিযুদ্ধ। সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত ও তরুণদের বোঝাতে হবে’।

তিনি আরো বলেন, ‘জামায়াত, গোলাম আযমের নাম মুখে নিলে দাত মেজে কুলি করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের মা-বোনদের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছে তারা। স্বাধীনতার পর থেকে তারা দেশকে পেছনে নিয়ে যেতে চক্রান্ত করেছে।  জনগণ শেখ হাসিনাকে রায় দিয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে’।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন,  ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে আমরা ছয় বছরে ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা শিক্ষকদের মাঝে বিতরণ করেছি। যেখানে বিএনপি দিয়েছিলো মাত্র ৩৫০ কোটি টাকা। আমরা কাজ করে যাচ্ছি। গতকাল (বৃহস্পতিবার) ৪টি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। গতবারের চেয়ে ফলাফল ভালো। মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে ভালো করছে’।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে মোট ৫৭৯ জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীর হাতে কল্যাণ ও অবসর সুবিধা বাবদ মোট ২৪ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।