স্টাফ রিপোর্টার॥
আগামী বছরের জুনের মধ্যে অরক্ষিত সীমান্ত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) আওতায় চলে আসবে বলে জানিয়েছেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার পিলখানায় বিজিবির সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে ৫৩৯ কিলোমিটার সীমান্ত অরক্ষিত ছিল। বিওপির মাধ্যমে ৩৩২ কিলোমিটার সীমান্ত বিজিবির আওতায় চলে এসেছে। আগামী জুনের মধ্যে সব সীমান্ত বিজিবির আওতায় চলে আসবে। সুন্দরবনের ৭২ কিলোমিটার অরক্ষিত রয়েছে। সেখানে বিওপি ¯’াপন করতে হবে।
সীমান্তে সড়ক ও কাঁটাতারের বেড়া না থাকা বিজিবির দায়িত্ব পালনে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে বিজিবি প্রধান বলেন, সীমান্তে বর্তমানে বিজিবি পায়ে হেঁটে দুবার টহল দি”েছ। সীমান্তে রাস্তা থাকলে বিজিবি ২০ বার টহল দিতে পারতো। তাই অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও রাস্তার অভাবে সক্ষমতা যতটুকু আছে তার প্রয়োগ হ”েছ না।
তিনি আরও বলেন, সীমান্তের লোকজনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রয়োজন। সেখানকার মানুষের অর্থনৈতিক দৈন্যতার সুযোগে চোরাচালানিরা তাদের ব্যবহার করছে। তাই সেসব লোকজনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হলে চোরাচালান কমে আসবে। এজন্য সীমান্ত ব্যাংক ভবিষ্যতে বিভিন্ন প্রজেক্ট চালু করবে বলেও জানান তিনি।
গরু চোরাচালান প্রসঙ্গে আজিজ আহমেদ বলেন, আমাদের যে কোনোভাবে ভারতের গরুর উপর থেকে নজর সরাতে হবে। গরুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে সীমান্তে হত্যা বন্ধ হয়ে আসবে। এ জন্য অভ্যন্তরীণভাবে আমাদের আরও প্রচারণা দরকার বলে মনে করেন তিনি।