শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > প্রবৃদ্ধি অর্জনে বিনিয়োগ চাই জিডিপি’র ৩২ শতাংশ

প্রবৃদ্ধি অর্জনে বিনিয়োগ চাই জিডিপি’র ৩২ শতাংশ

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, প্রবৃদ্ধির কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিনিয়োগ দরকার জিডিপির ৩২ শতাংশ। ৭ম পঞ্চ-বার্ষিক পরিকল্পনায় প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছিল ৭ দশমিক ৪ শতাংশ হারে। বর্তমান প্রবৃদ্ধি অর্জনের এ হার ৭ শতাংশের আশপাশে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বিপুল এ বিনিয়োগ নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় কিংবা ঋণ নিয়ে মেটানো অসম্ভব। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদের হার বৈদেশিক ঋণের সুদের হারের তুলনায় অনেক বেশি। এক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ  হয়ে উঠছে বৈদেশিক সাহায্য।

রোববার সকালে (১২জুন) দশম জাতীয় সংসদেও বাজেট অধিবেশনে সরকারি দলের সংসদ সদস্য গাজী ম. ম. আমজাদ হোসেন মিলনের এক প্রশ্নের জবাবে  অর্থমন্ত্রী সংসদে এ তথ্য জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বৈদেশিক সাহায্যের মধ্যে অনুদানের পরিমাণ ৫ হাজার ৫১৬ কোটি টাকা (প্রায় ৬৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) এবং ঋণের পরিমাণ ৩৮ হাজার ৯৪৭ কোটি টাকা (প্রায় ৪ হাজার ৮৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাজেটে বৈদেশিক সহায়তার পরিমাণ প্রাক্কলন করা হয়েছে ৪৪ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা। বৈদেশিক সহায়তার মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে প্রকল্প সাহায্য বাবদ ৪০ হাজার কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বহির্ভূত প্রকল্প সাহায্য বাবদ ৪ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বৈদেশিক সহায়তা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় অবকাঠামো ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি সেতু, রেল ও সড়কসহ  অবকাঠামো ও আর্থ-সামাজিক খাতে বিপুল বিনিয়োগ প্রয়োজন।’

চট্টগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)’র সাময়িক হিসাব অনুযায়ী ২০১৫-১৬ অর্থবছরে জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। বিগত ২০১৪-১৫ অর্থ-বছওে এই হার ছিল ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ। সাময়িক হিসাবে অনুযায়ী , ২০১৫-১৬ অর্থ-বছরে  মাথাপিছু জাতীয় আয় ১,৪৬৬ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে যা গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের জাতীয় আয় ১,৩১৬ মার্কিন ডলার থেকে ১১ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি।’