স্টাফ রিপোর্টার ॥
ঢাকা: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে নতুন করে জেরা ও মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা দুটি আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. আমির হোসেনের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। আর খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী।
আদালতের এ আদেশের ফলে বিচারিক আদালতে এ মামলার কার্যক্রম চলতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
এর আগে গত ১০ মে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদেশের জন্য আজ রোববার দিন ধার্য রাখা হয়েছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী বলেন, ‘আদেশের অনুলিপি পাওয়ার পর আমরা আপিল দায়ের করব।’
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া
চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি।
জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে মোট তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ।
ওই মামলার অপর আসামিরা হলেন—খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন সহকারী একান্ত সচিব ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।