শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > সিম পুনঃনিবন্ধনের সময় বাড়লো আরো এক মাস

সিম পুনঃনিবন্ধনের সময় বাড়লো আরো এক মাস

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥
ঢাকা : বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনঃনিবন্ধনের সময়সীমা বাড়লো আরো এক মাস। ১ মে থেকে ৩১ মে রাত ১২টা পর্যন্ত সময় বর্ধিত করা হয়েছে। যে সিমগুলো পুনঃনিবন্ধন করা হয়নি অথবা ভেরিফিকেশনের জন্যও চেষ্টা করা হয়নি, সেগুলোর মধ্যে আজকের পর ১ মে থেকে র‌্যান্ডমলি (পর্যায়ক্রমে) প্রতীকীভাবে কিছু সিম তিন ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে।

এমনটাই জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। শনিবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবনে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানানো হয়।

তারানা হালিম বলেন, ‘৩১ মে রাত ১২টার পর কোনো সতর্ক সংকেত বা কোনো ঘোষণা ছাড়াই অনিবন্ধিত সিমগুলো সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে। পরবর্তী ১৫ মাসের জন্য অন্য কোথাও এ সিমগুলো বিক্রির কাজ স্থগিত থাকবে। এটা প্রধাণত করা হয়েছে যারা বিদেশে থাকেন বা শান্তি রক্ষা মিশনে যারা গেছেন তাদের সুবিধার্থে।’

তিনি বলেন, ‘দেশে ১৫ লাখ প্রতিবন্ধী আছে। এছাড়া বিভিন্ন এনজিওর হিসাবে আরো বেশি থাকতে পারে। এই ১৫ লাখ প্রতিবন্ধীদের সিম এই সময়ের মধ্যে (১ মে-৩১মে) বন্ধ থাকবে না। আর সিম নিবন্ধনের জন্য আগামীকাল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত কাস্টমার কেয়ারগুলো শনিবারেও নির্ধারিত সময়ে খোলা থাকবে। অফিস চলাকালীন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সিম পুনঃনিবন্ধনের জন্য প্রতিটি কাস্টমার কেয়ারে আলাদাভাবে দুইজন লোক থাকবে। তারা তাদের যতœ নেবেন এবং কাজ সম্পন্ন করাবেন। সেখানে এনআইডি অফিসারও থাকবেন, তারা সব সময় সহযোগিতা করবেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিবন্ধীসহ যেসব অসুস্থ লোক ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। তারা এনআইডি অফিসে যোগাযোগ করলে লোক গিয়ে সমাধান করবেন।’

সতর্কতা জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, ‘আপনাদের প্রতি অনুরোধ শেষ সময়ে যেন ভীড় না করেন। আজ থেকে স্বাভাবিকভাবেই নিবন্ধন করুন। ৩১ মে-এর পর আর সময় বর্ধিত করা হবে না। তখন যদি ভোগান্তিও হয়, তখন আমাদের ক্ষমা চাওয়া ছাড়া আর কিছুই করার থাকবে না। আপানাদের মতামতের প্রতি সম্মান রেখেই এ সময় (৩১ মে) বর্ধিত করা হলো। তাই আপনারা আগের মতোই উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে সিম পুনঃনিবন্ধন করুন।’

সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তারানা বলেন, ‘বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ। যারা এই দাবদাহ রোদ সহ্য করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে সিম পুনঃনিবন্ধন করছেন। তারা সরকারের এই শুভ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। জনগণের স্বাভাবিক নিরাপত্তার জন্য এটা অত্যন্ত জরুরি।’

তিনি বলেন, ‘আজ সকাল পর্যন্ত সিম নিবন্ধন করা হয়েছে ৮ কোটি ৯০ লাখ। আর সন্ধ্যা পর্যন্ত হিসাব টানলে দেখা যাবে, প্রায় ৯ কোটি সিম পুনঃনিবন্ধিত হয়েছে। তাই এটা বলতে পারি যে, বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাংলাদেশ এই প্রথম একটি রাষ্ট্র, যেখানে মাত্র ৫ মাসে প্রায় ৯ কোটি সিম পুনঃনিবন্ধ করেছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে। এজন্য সকল কৃতিত্ব জনগণের।’

‘আমি গ্রামগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় ও অলিগলিতে যাওয়ার চেষ্টা করেছি মানুষের সমস্যা বুঝার জন্য। তারা কি চায় সেটা বুঝার জন্য।’ যোগ করলেন তারানা।

উল্লেখ্য, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন ও পুনঃনিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর। তখন সিম নিবন্ধনের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয় ২০১৬ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে এখনো দেশের ছয়টি অপারেটরদের বিপুল সংখ্যক সিম অনিবন্ধিত রয়ে গেছে।