শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > কিউইদের উড়িয়ে ফাইনালে ইংল্যান্ড

কিউইদের উড়িয়ে ফাইনালে ইংল্যান্ড

শেয়ার করুন

স্পোর্টস ডেস্ক ॥

ঢাকা: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে উঠেছে ইয়ন মরগানের ইংল্যান্ড। ১৭ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে কিউইদের হারিয়েছে তারা। কলকাতায় ০৩ এপ্রিল ফাইনালে মাঠে নামবে ইংলিশরা।

দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে কিউইরা ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান সংগ্রহ করে। নিউজিল্যান্ড প্রথম ১০ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে তোলে ৮৯ রান। পরের ১০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৬৪ রান যোগ করে কিউইরা। জবাবে, ১৭.১ ওভার ব্যাট করে মাত্র তিনটি উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড।

টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগান। কিউইদের হয়ে ব্যাটিং শুরু করেন মার্টিন গাপটিল এবং কেন উইলিয়ামসন। ইনিংসের শুরু থেকে জ্বলে উঠার ইঙ্গিত দিলেও তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই বিদায় নেন ১২ বলে তিনটি বাউন্ডারিতে ১৫ রান করা গাপটিল। ডেভিড উইলির বলে উইকেটের পেছনে জস বাটলারের গ্লাভসবন্দি হন তিনি।

ইনিংসের ১১তম ওভারে বিদায় নেন উইলিয়ামসন। মঈন আলির বলে মিডঅফে তুলে মারেন কিউই দলপতি। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নেন মঈন। তিনটি চার আর একটি ছক্কায় ২৮ বলে ৩২ রান করে বিদায় নেন উইলিয়ামসন। আউট হওয়ার আগে মুনরোর সঙ্গে ৭৪ রানের জুটি গড়েন তিনি।

এরপর বিদায় নেন মুনরো। ৩২ বলে সাতটি চার আর একটি ছক্কায় ৪৬ রান করে মঈন আলির তালুবন্দি হন তিনি। ইনিংসের ১৪তম ওভারে লিয়াম প্লাঙ্কেটের বলে সাজঘরের পথ ধরেন মুনরো।

কোরি অ্যান্ডরসনকে সঙ্গে নিয়ে ২৭ রানের জুটি গড়েন রস টেইলর। ইনিংসের ১৭তম ওভারে আর দলীয় ১৩৪ রানের মাথায় ক্রিস জর্ডানের বলে ইয়ন মরগানের হাতে ধরা পড়েন ৮ বলে ৬ রান করা রস টেইলর।

পরের ওভারে কিউই শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন বেন স্টোকস। ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে ডেভিড উইলির হাতে ধরা দিতে বাধ্য হন ৩ রান করা লুক রঞ্চি। পরের বলেই ফেরেন ২৩ বলে দুটি চার আর একটি ছক্কায় ২৮ রান করা কোরি অ্যান্ডারসন। তবে, পঞ্চম বলে হ্যাটট্রিক বঞ্চিত হন স্টোকস।

ইনিংসের শেষ ওভারে আক্রমণে এসে স্টোকস ফিরিয়ে দেন ৭ রান করা স্যান্টনারকে।

ইংলিশদের হয়ে উইলি, জর্ডান, প্লাঙ্কেট আর মঈন আলি একটি করে উইকেট দখল করেন। ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন বেন স্টোকস।

কিউইদের ছুঁড়ে দেওয়া ১৫৪ রানের টার্গেটে শুরুটা দুর্দান্ত করেন জেসন রয় ও অ্যালেক্স হেলস। কোরি অ্যান্ডারসনের প্রথম ওভার থেকে চারটি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৬ রান তুলে নেন জেসন রয়। দলীয় ৮২ রানের মাথায় ফেরেন হেলস। একটি করে চার ও ছক্কায় ১৯ বলে ২০ রান করে বিদায় নেন তিনি। স্যান্টনারের বলে মুনরোর হাতে ধরা পড়েন ইংলিশ এই ওপেনার।

প্রথম ২৬ বল থেকেই দুই ওপেনার তুলে নেন দলীয় ৫০ রান। ৬২ বলে ইংলিশদের দলীয় শতক আসে।

২৬ বলে অর্ধশতকে পৌঁছেন জেসন রয়। ইংলিশদের হয়ে বিশ্বকাপে এটি দ্বিতীয় দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি। এর আগে ২০১২ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বর্তমান দলপতি ইয়ন মরগান ২৫ বলে অর্ধশতকের দেখা পান। ইনিংসের ১৩তম ওভারে বিদায় নেন জেসন রয়। ইশ সোধির বলে বোল্ড হওয়ার আগে তিনি ৪৪ বল থেকে ১১টি চার আর দুটি ছক্কায় করেন ৭৮ রান। পরের বলেই এলবির ফাঁদে পড়েন দলপতি ইয়ন মরগান।

এরপর আর কোনো উইকেট হারাতে হয়নি ইংলিশদের। ২৯ বলে ৪৯ রান করে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলকে জয় পাইয়ে দেন জস বাটলার ও জো রুট। বাটলার ১৭ বলে দুটি চার আর তিনটি ছক্কায় ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন। আর ২২ বলে তিনটি বাউন্ডারিতে ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন রুট।

ইংল্যান্ড একাদশ: ইয়ন মরগান (অধিনায়ক), মঈন আলী, জস বাটলার, অ্যালেক্স হেলস, ক্রিস জর্ডান, লিয়াম প্লাঙ্কেট, আদিল রশিদ, জো রুট, জেসন রয়, বেন স্টোকস, ডেভিড উইলি।

নিউজিল্যান্ড একাদশ: কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), কোরি অ্যান্ডারসন, গ্র্যান্ট ইলিয়ট, মার্টিন গাপটিল, মিচেল ম্যাকক্লেনাঘান, অ্যাডাম মিলনে, কলিন মুনরো, লুক রঞ্চি, মিচেল স্যান্টনার, ইশ সোধি, রস টেইলর।