বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা : ফোনের জগতে স্যামসাং ফোন বেশ জনপ্রিয়। দক্ষিণ কোরিয়ার এই প্রতিষ্ঠানের ফোনগুলোর কপি বা রেপ্লিকা ভার্সনও প্রচুর। নকল ও আসল স্যামসাং ফোন পাশাপাশি রাখলেও বোঝা আসল নলকের পার্থক্য বোঝা কঠিন।
সাধারণ মোবাইলের দোকান থেকে ফোন কিনলেও প্রতারিত হওয়ার সুযোগ থাকে। তবে স্যামসাং ফোনের ব্র্যান্ড শপ থেকে ফোন কিনলে প্রতারিত হওয়ার সুযোগ কম।
আসল স্যামসাং ফোন চেনার কিছু কৌশল রয়েছে। কৌশল গুলো জানা থাকলে নকল সেট কিনে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। জেনে নেয়া যাক স্যামসাংয়ের আসল ফোন চেনার উপায়ঃ
নকল সেটটিকে চেনার জন্য আপনার আসল সেটটি সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। এই ধারণা যে কোন ব্র্যান্ড শপ অথবা বন্ধু ও পরিচিতজনের কাছে থাকা স্যামসাং ফোন দেখে আপনি অভিজ্ঞতা নিতে পারেন। যে পার্থক্যগুলো আপনার চোখে পড়বেঃ
১. নকল মোবাইল সেটের ডিসপ্লের গ্লাস খুব নিম্নমানের হয়। ডিসপ্লের ওপর টাচ করলে ফোন আসল ফোনের মত রেসপন্স করে না।
২. নকল সেটে মোবাইল বডি থেকে স্ক্রিনের দুরত্ব বেশি থাকে। যার কারণে স্ক্রিন এবং বডির মধ্যে ফাকা জায়গা দেখা যায়। আসল সেটে এই ফাঁকা খুব কম থাকে।
৩. আসল সেটের মতো ডিসপ্লে উজ্জ্বল এবং ভাইব্রেন্ট হয় না।
৪. নকল সেটে অনেকগুলো সেন্সর কাজ করে না।
৫. মোবাইলের হোম বাটনটি আসল ফোনের মতো সঠিক জায়গাতে থাকে না। হোম বাটনের সাইজ ও একই হয় না।
৬. স্যামসাং এর লোগোটি মসৃণ এবং সমান্তরাল থাকে না। আসল ফোনে লোগোটি বেশ পাকাপোক্ত ভাবেই থাকে।
৭. আসল ফোনের আকার আর নকল ফোনের আকার সমান হয় না। যার কারণে পাশাপাশি সেট রেখে মাপ নিলে নকল সেট সহজে বোঝা যায়।
৮. হোম, পাওয়ার এবং ভলিউম বাটনগুলোর দুরত্ব আসল সেটের মতো কাছাকাছি হয় না।
৯. আসল ফোনের ব্যাক পার্ট খোলার পর যে ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ গুলো থাকে নকল ফোনের যন্ত্রাংশে ঠিক একই রকম হয় না।
১০. আসল ফোন আর নকল ফোনের ব্যাটারি ক্যাপাসিটি সমান হয় না।
এ ব্যাপারগুলো আউটলুকের ক্ষেত্রে পরীক্ষা করা যায়। সেটটি ব্যবহার করেও আসল না নকল তা বোঝার চেষ্টা করা যায়।
১. ফোনটিতে কোন গেম খেলুন। নকল সেটে গেমগুলো ধীরগতিতে চলবে। এবং বারবার আটকে যেতে চাইবে।
২. ফোনটির ক্যামেরা সেটিংস এ গিয়ে সবচেয়ে লো রেজুলেশনে ছবি তুলে দেখুন। নকল সেট হলে ছবি ঝাপসা আসবে। আর আসল সেটে ছবিটির পার্থক্য বোঝা যাবে না।
৩. *#০*# চাপুন। সেটের বিভিন্ন ফিচার টেস্টের অপশন আসবে। এবার সেন্সর লেখা বক্সটিতে টাচ করুন। এবার ফোনটিকে স্পর্শ না করে ফোনটির ওপর আপনার হাত রাখুন। যদি সেটে ভাইব্রেশন অনুভূত হয়, তাহলে ফোনটি আসল। নকল সেটে সেন্সরে ভাইব্রেশন কাজ করবে না।
৪. সেটের অভ্যন্তরীণ মেমোরি চেক করুন। ১৬ জিবি, ৩২ জিবি এবং ৬৪ জিবি ফোনগুলোতে ব্যবহারকারীর ব্যবহারের জন্য ৯ জিবি, ২৫জিবি এবং ৫৭ জিবি থাকে। যদি এর কম বা বেশি থাকে, তাহলে বুঝবেন সেটটি আসল নয়।
৫. ডাটা ক্যাবল দিয়ে ফোনটি পিসিতে সংযুক্ত করুন। স্যামসাং কিস নামে একটি সফটওয়্যার ডাউনলোড করে এই সফটওয়্যার দিয়ে ফোনটিতে প্রবেশ করলে মডেল নম্বর এবং বিল্ট ইন মেমোরি প্রদর্শন করবে। এক্ষেত্রে ফোনের মডেল দেখে আপনি যাচাই করে নিতে পারবেন।
এছাড়াও বাড়তি কিছু সতর্কতার কথা চিন্তা করতে পারেন।
১. স্যামসাং অনুমোদিত আউটলেট থেকে মোবাইল কিনুন।
২. ওয়ারেন্টি কার্ড চেক করে নিন। নতুন ফোন কিনলে আপনি নিজের মোবাইলেও ওয়ারেন্টি সংক্রান্ত একটি বার্তা পাবেন।
৩. নতুন ভার্সনের মোবাইলে অতিরিক্ত ডিসকাউন্ট থাকলে অফারের ব্যাপারে নিশ্চিত হোন।
৪. কোন ফোন কেনার আগে ফোনটির রিভিউ ইউটিউবে দেখে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে নতুন মোবাইল কেনার ক্ষেত্রে ফিচারগুলো পরীক্ষা করে নিতে সুবিধা হবে।
৫. স্যামসাং অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টারগুলোতে মোবাইল প্রদর্শন করা থাকে। কেনার আগে ফোনটি প্রদর্শনী থেকে দেখে আপনার চাহিদার সাথে মিলিয়ে তারপর মোবাইল কেনার সিদ্ধান্ত নিন।
এবার আর স্যামসাং মোবাইল কেনায় নেই কোন ভয়।