শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > ছয়লেন মহাসড়কে ঢাকার দু’টি ব্যস্ততম প্রবেশদ্বার

ছয়লেন মহাসড়কে ঢাকার দু’টি ব্যস্ততম প্রবেশদ্বার

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥

ঢাকা: পুরান ঢাকার বাবুবাজারে যানজট যেন নিত্যসঙ্গী। অধিকাংশ সময় বাবুবাজারের যানজট বুড়িগঙ্গা সেতু পেরিয়ে চলে যায় বহুদূর। পদ্মাসেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে এ এলাকার যানজটের চিত্র আরও ভয়াবহ হবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

অন্যদিকে দেশের বৃহত্তম মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারও যানজট থেকে রেহাই দিতে পারেনি ঢাকার অন্যতম প্রবেশদ্বার যাত্রাবাড়ীকে। যানজটের কবল থেকে মুক্ত হতে পারেনি যাত্রাবাড়ী ইন্টারসেকশনও।

তবে রাজধানী ঢাকার এ দু’টি গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বারকে (বাবুবাজার ও যাত্রাবাড়ী) যানজট থেকে মুক্ত করতে যাচ্ছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। প্রবেশদ্বার দু’টি শিগগিরই ছয়লেন মহাসড়কে যুক্ত হতে যাচ্ছে। প্রথমবারের মতো এমন উদ্যোগ প্রধানত পদ্মাসেতুর কথা চিন্তা করেই গ্রহণ করা হচ্ছে।

‘ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী ইন্টারসেকশন থেকে (ইকুরিয়া-বাবুবাজার লিংক সড়কসহ) মাওয়া পযর্ন্ত এবং শিবচর-ভাঙ্গা অংশ ধীরগতির যানবাহনের জন্য পৃথক লেনসহ ছয়লেনে রুপান্তর প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো, পদ্মাসেতু ব্যবহার করে ঢাকা থেকে মাওয়া হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে যাতায়াত সহজ করা। বাবুবাজার ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় যেন গাড়ির কোনো চাপ সৃষ্টি না হয় সে লক্ষ্যেই সড়কগুলো আরও প্রশস্ত করা হবে।

ঢাকায় প্রবেশের সড়কগুলোকে দুই লেন থেকে ছয়লেনে রুপান্তর করা হবে। এতে বাবুবাজার এবং যাত্রাবাড়ী এলাকায় অতিরিক্ত যানবাহন সামাল দেওয়া যাবে বলে মনে করে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।

সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এমএন সিদ্দিক বাংলানিউজকে বলেন, প্রকল্পের আওতায় আমরা ছয়লেন সড়ক নির্মাণ করবো। চারলেনে দ্রুতগতির যানবাহন চলাচল করবে। দুইলেনে ধীরগতির যানবাহন চলাচল করবে। ঢাকা থেকে খুলনা মহাসড়কে এ উদ্যোগ নেওয়া হবে। এতে সড়কের পরিধি বাড়লে আপনা-আপনি বাবুবাজার ও যাত্রাবাড়ীর যানজট কমে যাবে।

প্রকল্পের আওতায় ৫৫ কিলোমিটার ছয়লেন মহাসড়ক নির্মাণ করা হবে। যাত্রাবাড়ী থেকে মাওয়া সড়কে ৩১ দশমিক ৭০ কিলোমিটার, বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতু পার হয়েই ইকুরিয়া থেকে বাবুবাজার লিংকরোড পর্যন্ত তিন দশমিক ৩০ কিলোমিটার সড়ক ছয়লেনে রুপান্তর করা হবে। শিবচর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার মহাসড়কও ছয়লেনে রুপান্তর করা হবে।

এছাড়া প্রকল্পের আটটি আরসিসি সেতু, ১৯টি পিসি গার্ডার সেতু, ৪৫টি বক্স কালভার্ট, দু’টি ফ্লাইওভার, চারটি রেলওয়ে ওভারপাস, ৬টি ওভারপাস, ৯টি ইউ লুপ নির্মাণ করা হবে। ২৪ দশমিক ৮৮ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ এবং সড়ক বাঁধ নির্মাণে ১ কোটি ২২ লাখ ঘনমিটার মাটি সংগ্রহ করা হবে। পদ্মাসেতু চালু হওয়ার পরপরই যাতে যানবাহন চলাচলে কোনো সমস্যা না হয় সেদিক বিবেচনা করেই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হচ্ছে।

প্রকল্পের মোট প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৯৬২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদ জানুয়ারি ২০১৬ থেকে জুন ২০১৯ সাল নাগাদ নির্ধারণ করা হয়েছে।

সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ জানায়, ছয়লেন সড়ক নির্মাণ করার ফলে ঢাকার বাবুবাজার ও যাত্রাবাড়ীতে কোনো ধরনের গাড়ির চাপ থাকবে না। যানজট ছাড়াই দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ যাতায়াত করতে পারবেন। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম