বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা : মহাকাশে প্রায় একবছর কাটিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসার পর মহাকাশচারী স্কট কেলি তার স্পেসস্যুটকে হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শুক্রবার নাসা কেলির অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন। মহাকাশ থেকে ফেরার দু’সপ্তাহ হতে না হতেই তিনি এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ১লা এপ্রিল তিনি নাসা থেকে অবসর নেবেন।
৫২ বছরের কেলি যুক্তরাষ্ট্রে একটি রেকর্ড গড়েছেন। ৩৪০ দিন তিনি অবস্থান করেছিলেন মহাকাশের স্পেস স্টেশনে। মানুষের শরীর দীর্ঘদিন ধরে কিভাবে মহাকাশে থাকতে পারে তাই পরীক্ষা হয়েছিল তার মাধ্যমে। মজার ব্যাপার হল তার এই সাফল্য তুলনা হবে তার জমজ ভাই মার্কের সাথে। মার্ক নিজেও মহাকাশচারী হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।
স্কট কেলি সর্বোচ্চ সময় ৫২০ দিন মহাকাশে থাকার রেকর্ড গড়েছেন। কেলি বলেন, ‘আমি আমার জীবনের ৩০ বছর নতুন কিছু আবিষ্কারের নেশায় সরকারি চাকরি করে গেছি। কোন একটি ভ্রমণ চলমান রাখার জন্য আমাদের সবসময় চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হয় পরের পদক্ষেপে পৌঁছানোর জন্য।’
১৯৮৭ সালে কেলি নেভিতে যোগদান করেন। প্রায় এক বছর মহাকাশ ভ্রমণে তিনি ১০০ এর উপরে ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেন। তিনি মহাকাশে থাকা বেশ উপভোগ করেন। তার স্পেসস্যুটটি ছিল তার ভাই থেকে উপহার পাওয়া এবং তিনি সেই স্পেসস্যুট পরে ভিডিও চিত্রও ধারণ করেন।
তিনি বলেন, ‘ স্পেসে মানিয়ে নেয়া পৃথিবীতে মানিয়ে নেয়ার চেয়ে সহজ ছিল।’
নাসার অবসরপ্রাপ্ত পলিসি অধ্যাপক জন লগসটন বলেন, ‘কেলির চলে যাওয়া স্পেস এজেন্সির একটি বড় নক্ষত্রের পতনের মত। আমি বাজি ধরে বলতে পারি কোন মহাকাশচারীর সাথে কেলির তুলনা চলে না। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য মহাকাশচারী হিসেবে কেলি পথিকৃৎ। তার মত মহাকাশচারী খুব বেশি নেই পৃথিবীতে।’
নাসার প্রশাসক চার্লেস বোল্ডেন বলেন, ‘মঙ্গলে যাওয়ার জন্য মহাকাশচারীরা আমার বন্ধু কমান্ডার স্কট কেলির পদাঙ্ক অনুসরণ করবে।’
কেলি মার্চের ২ তারিখ মহাকাশ থেকে ফেরত আসেন। তিনি কাজাখাস্তানে অবতরণ করেন। তার সাথে ছিলেন সহযোগী মিখাইল কর্নেইনেকো। কক্ষপথ ছাড়ার আগে তিনি তার টুইটার টুইট করেন, ‘ভ্রমণ এখানেই শেষ নয়। আমাকে অনুসরণ করুন যখন আমি পৃথিবীর জন্য নতুন কিছু উদ্ভাবন করবো।’